Breaking

February 05, 2018

ইংরেজির প্রশ্নপত্র ফাঁস!

ইংরেজির প্রশ্নপত্র ফাঁস!


এ বছরের এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রও ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে সোমবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের মোবাইলে থাকা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার মূল প্রশ্নের মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ওই কেন্দ্রের সচিব।

এসএসসির বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ফাঁসকারীদের ধরিয়ে দিলে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল সরকার। এর পরদিনই মানিকগঞ্জে এমন ঘটনা ঘটল। পরীক্ষার আগমুহূর্তে মোবাইলকেন্দ্রিক তৎপরতা রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে সরেজমিনেও দেখা গেছে।

অভিযোগ উঠেছে, এবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাশাপাশি ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণসহ কেন্দ্রে অব্যবস্থাপনাও হচ্ছে। অভিভাবকেরা বলছেন, এসব ঘটনায় তাঁদের সন্তানদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ছে। এর মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠা বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা বাতিল হবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে।

এমন অবস্থায় সোমবার জাতীয় সংসদে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পদত্যাগ দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ। না হয় তাঁকে বরখাস্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান তিনি।

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রসচিব ও প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কোচিং সেন্টারের দুই শিক্ষককে কেন্দ্রের সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। পৌনে ১০টার দিকে তাঁদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাঁদের মোবাইলে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। মোবাইলের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র মিলে যায়। তাঁদের ফোনে ‘মাই এক্সাম’ নামে একটা লিংক পাওয়া গেছে।

মানিকগঞ্জে গ্রেপ্তার কোচিংয়ের দুজন শিক্ষক হলেন রুবেল হোসেন ও শরীফুল ইসলাম। তাঁরা উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের চারাভাঙ্গা এলাকার ফ্রেন্ডস কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষা শুরুর আগে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলা সদরের সিঙ্গাইর পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে কোচিং সেন্টারের ওই দুই শিক্ষক ঘোরাঘুরি করতে থাকেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. যোবায়ের বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আর কে কে জড়িত, বিষয়টি বের করার জন্য ওই দুই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ওই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন। কেন্দ্রসচিব আকরাম হোসেন মামলাটি করেন। গ্রেপ্তার দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ফাঁস হওয়া ওই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়াসহ অসদুপায় অবলম্বন করার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের ১২ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।

১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডসহ ১০ বোর্ডে পরীক্ষার্থী ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৯৯। এবার শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আগেভাগে ঘোষণা দিয়ে পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশের প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর আগমুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা মূল প্রশ্নের সঙ্গে মিলে যায়। সোমবার এসএসসির ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগমুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। কিন্তু এত কিছুর পরও ফাঁসকারীদের ধরা যাচ্ছে না।
February 05, 2018

শিক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্তে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান


শিক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্তে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের পদত্যাগের দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে এই দাবি জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য জিয়াউদ্দীন আহমেদ বাবলু। একই সঙ্গে তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে বরখাস্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বানও জানান।

সংসদের বৈঠকে যখন জিয়াউদ্দীন এ বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন সংসদ কক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

প্রশ্ন ফাঁস ও ঘুষ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আমি দাবি করছি, অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রী তাঁর ব্যর্থতা, দুর্নীতি, অনিয়ম স্বীকার করে নিয়ে পদত্যাগ করুন। না হয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছি, তাঁকে (শিক্ষামন্ত্রী) বরখাস্ত করে শিক্ষা খাতের উন্নতির জন্য গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য আপনি নতুন মন্ত্রী নিয়োগ করুন।’

এ সময় সাংসদের অনেকে টেবিল চাপড়ে জিয়াউদ্দীনের বক্তব্যকে সমর্থন জানান।

জিয়াউদ্দীন আহমেদের বক্তব্যের পর ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী এটা শুনেছেন। তিনি তাঁর বিবেক-বিবেচনায় যেটুকু করা প্রয়োজন, জাতির স্বার্থে অবশ্যই তা করবেন।’

এসএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সমালোচনা করে জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের খবর প্রতিদিন পত্রিকায় আসছে। এটা মহামারি আকারে বিস্তার লাভ করছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত ব্যক্তিদের ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করার পরও প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে।

বিরোধী দলের এই সাংসদ আরও বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাড়ছে। ছাত্ররা গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে বেরিয়ে আসছে, কিন্তু কিছুই পারে না। তারা বাংলাও লিখতে পারে না, ইংরেজিও লিখতে পারে না। এই যদি পরিস্থিতি হয়, তাহলে কার কাছে আমরা দেশটি রেখে যাব?’

জিয়াউদ্দীন দাবি করেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা অনেক শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজিতে চাকরির দরখাস্তও লিখতে পারেন না। গোল্ডেন জিপিএ পেয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। শিক্ষার গুণগত মান অর্জন করা যাচ্ছে না।

শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী কয়েক দিন আগে কর্মকর্তাদের বৈঠকে বলেছেন, ‘আপনারা ঘুষ খান, তবে সহনীয় পর্যায় ঘুষ খাবেন।’ এটা বলার পরে কি উনি মন্ত্রী থাকতে পারেন? যখন মন্ত্রী ঘুষের কথা বলেন, তখন তাঁর কথা তো আর কেউ শুনবেন না। তাঁর সচিব শুনবেন না, অধীন কেউ শুনবে না। তিনি তো ঘুষকে উৎসাহিত করছেন। তাহলে কীভাবে কঠোরভাবে প্রশ্নফাঁস বন্ধ করবেন তা বোধগম্য নয়।’

এ সময় জিয়াউদ্দীন নিজের মোবাইল ফোন দেখিয়ে বলেন, ইউটিউবে শিক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্য আছে।
February 05, 2018

চাকরির বয়সসীমা: ভুগবে কেন তরুণেরা?

চাকরির বয়সসীমা: ভুগবে কেন তরুণেরা?

    চাকরির বয়সসীমা: ভুগবে কেন তরুণেরা?



আমাদের দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর। বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে তুলনা করলে কিংবা এ দেশের বাস্তবতায় এই সময়সীমা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন কি না, এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে লেখালেখি-মানববন্ধন-সভা-সেমিনার-স্মারকলিপি পেশসহ বহুবিধ কর্মসূচি। সরকার কখনো কখনো চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধির পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই অবস্থানও বদলেছে। দীর্ঘদিনের আন্দোলন এখন রূপ নিয়ে অনশনে। সরকার কি অনশনকারীদের যৌক্তিকতা বিচার করবে? 

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কেন বাড়ানো প্রয়োজন?
আমাদের গড় আয়ু যখন ছিল ষাটের নিচে, তখন আমাদের চাকরি থেকে অবসরের সময় ছিল ৫৭ বছর। এখন সেই অবসরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ বছর। আলোচনা চলছে অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি করার। অবসরের সময় বাড়লে সংগত কারণে ওই দুই বছর চাকরিতে নতুনদের প্রবেশের সুযোগ কমে আসে। কারণ, ওপরের পদ শূন্য হলেই কেবল নিচের পদে জনবল নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সেই বিবেচনায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা উচিত। একই সঙ্গে অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা এবং চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করাই ছিল যুক্তিসংগত।

স্কুলিং বেড়েছে, চাকরিতে প্রবেশের সময়সীমা বাড়েনি
আমাদের দেশে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে আগে স্নাতক ছিল দুই বছরের। এখন হয়েছে তিন বছর। আগে স্নাতক (সম্মান) ছিল তিন বছরের কোর্স, এখন চার বছরের। আগে স্নাতকোত্তর শেষ করতে প্রয়োজন হতো চার বছর, এখন পাঁচ বছর। স্কুলিং এক বছর করে বাড়লেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়েনি। মেডিকেল কলেজে স্কুলিং বেশি হওয়ার কারণে তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা করা হয়েছে ৩২ বছর। তাহলে সাধারণদের স্কুলিং বেড়ে যাওয়ার পরও কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়বে না?

পাঠক্রমে মনোযোগীদের জন্য সময় বৃদ্ধি জরুরি
বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজ পর্যায়ে স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে একদল আছে, যারা পাঠক্রম (সিলেবাস) ভালোভাবে পড়ে। একাডেমিক ফল ভালো করার প্রত্যাশায় দিন-রাত পাঠক্রম রপ্ত করতে থাকে। লক্ষ্য তাদের প্রথম শ্রেণি কিংবা ভালো সিজিপিএ অর্জন। যারা সাধারণত পাঠক্রমকেন্দ্রিক পাঠে মনোনিবেশ করে, তারা চাকরির প্রস্তুতি ভালোভাবে নিতে পারে না। তাদের প্রস্তুতি নিতে হয় পাঠক্রমের পরীক্ষা শেষ করার পর। ফলে তারা চাকরির প্রস্তুতি নেওয়ার সময় অনেক কম পায়। চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কম হওয়ার কারণে এখন অনেকেই বিষয়ভিত্তিক পড়ালেখা কমিয়ে শুধু বিসিএস পরীক্ষাসহ অন্যান্য চাকরির গাইড পড়ে। এতে করে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী পাঠক্রমে মনোযোগ দেওয়ার বেলায় নিরুৎসাহিত হন।


চাকরিপ্রার্থীদের ক্ষতির দায় কার?
একজন শিক্ষার্থী তাঁর লেখাপড়াজীবনে পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে অনেকটা সময় ক্ষতিগ্রস্ত হন। একজন শিক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষা দেন। উচ্চমাধ্যমিক পাস করার কথা ১৮ বছর বয়সে। স্নাতক (সম্মান) পাস করার কথা ২২ বছর বয়সে। স্নাতকোত্তর ২৩ বছর বয়সে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর হলে প্রত্যেকে সাত বছর করে সময় পাওয়ার কথা চাকরির জন্য, চেষ্টার জন্য। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে তাঁদের যে সময় নষ্ট হয়, সেই সময় কি সরকার তাঁদের দিচ্ছে? এ রকম তো কোনো পদ্ধতি চালু নেই যে একজন শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর পাসের পরদিন থেকে হিসাব করে সাত বছর সময় পাবেন চাকরির চেষ্টা করার জন্য। এখন স্নাতকোত্তর শেষ করতে কারও কারও ২৬ থেকে ২৮ বছর লাগে। পদ্ধতিগত কিংবা সেশনজটগত কারণে শিক্ষার্থীর কয়েক বছর ক্ষতির দায় কে নেবে? এর একটি উপায় তাঁদের চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি কি লাভজনক?
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হলে কারও ক্ষতির আশঙ্কা নেই। বরং যাঁরা সরকারি চাকরিতে নিজেদের মেধা প্রয়োগ করতে চান, তাঁদের বাড়তি সুযোগ সৃষ্টি হবে। এটা দেশের জন্য কল্যাণের। আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপালসহ বিশ্বের অনেক দেশে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৮-এর ওপর। বাংলাদেশের চাকরি প্রত্যাশীরা চান মাত্র ৩৫ বছর। সেটুকু বাস্তবায়নেও সরকারের অনীহা।

সরকারের চেষ্টা কি সুদূর পরাহত?
২০১৪ সালে নির্বাচনের আগে মহাজোট সরকার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কিছু কিছু কাজকে বেছে নিয়েছিল। এসবের মধ্যে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করারও কথা বলা হয়েছিল। ২০১৪ সালে নির্বাচনে যেহেতু জনগণের অংশগ্রহণ খুব বেশি ছিল না, তাই হয়তো বিষয়টি চাপা পড়েছে। দেশের এক দল শিক্ষার্থী আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা বৃদ্ধি করার। কয়েক বছর আগে ঢাকায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদ আয়োজিত একটি সেমিনারে গিয়েছিলাম। সেখানে রাশেদ খান মেননও উপস্থিত ছিলেন। তিনি তখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। তিনিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধিকরণে তিনিও ভূমিকা রাখবেন। সেই চেষ্টা আজ সুদূর পরাহত?

দাবি বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনকারীরা অনশন শুরু করেছেন। আসলে তাঁদের অনশন হঠাৎ করে নয়। দীর্ঘদিন আন্দোলন শেষে তাঁরা অনশনে বসেছেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে, সবাই শুধু সরকারের শেষ বছরে এসে দাবি উত্থাপন করছেন এবং অনশনে বসছেন। কেন অনশন করছেন, তাঁদের অনশন যৌক্তিক কি না, এসব বিবেচনা করাটাই জরুরি। সরকারের এ মেয়াদে সময় আছে আর অল্প দিন। আমরা আশা করি, সরকার আন্দোলনকারীদের দাবির প্রতি যৌক্তিকভাবে সমর্থন দেবে। কারণ, তাঁরা চাকরি চাননি, বেকার ভাতা চাননি, চেয়েছেন চাকরির চেষ্টা করার অধিক সময়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করবেন—এটাই আমাদের বিশ্বাস।

তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর
February 05, 2018

Preposition মনে রাখার কৌশল

Preposition Preposition মনে রাখার কৌশল



Preposition মনে রাখার কৌশল

আজ আমি আপনাদের মজা করে preposition শেখাবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আজ সকালে একটা মুরগির ডিম কিনে বাসায় যাচ্ছিলাম। কিসের ডিম মুরগির। এর বোঝালে of. দোকান থেকে from বাসার দিকে to. কিন্তু গতি শেষ বোঝাতে onto. হঠাৎ অনু আপু আর অরিন আপুর সাথে দেখা। সাথে বোঝালে with. আমি তাদের ডিম সিদ্ধ করে খাওয়াব। দুই ভাগ করলাম। একটা বড় আরেকটা ছোট। বড় জায়গার আগে in ছোট জায়গার আগে at. দুইজনের মধ্যে অমিল সৃষ্টি হলো। বিরোধ বোঝালে against. দুইজনের মধ্যে বোঝালে between. হঠাৎ আহাদ ভাই আরিফ ভাই সালমান ভাই ববী আপু এপি আপু কনক ভাই আসল। বলল আমরাও চাই। রাজীব ভাই এসে সবার মাঝে ভাগ করে দিলেন। সবার মাঝে বোঝাতে among. রাজীব ভাই বলল আকাশ ভাই ডিম কার জন্য এনেছিলেন। জন্য for. ডিমের উপর লবণ দেওয়া। উপর বোঝালে on. একটা একটু উপরে মাছি ছিল। স্পর্শ ছাড়া উপরে on top of. একটা তেলাপোকা উপর দিয়ে উড়ে গেল। উপর দিয়ে যাওয়া over. নিচে ছিল একটা প্লেট ছিল। নিচে beneath, beneath. পাশে ছিল চামচ। পাশে beside. খাওয়ার আগে ঝগড়া পরে মাসতী। আগে before পরে once. তারপর আমরা সবাই নৌকা দিয়ে নদী পার হয়ে রাস্তার ধার দিয়ে হাটছিলাম। নদী পার হওয়ার ক্ষেত্রে across, রাস্তার পাশে on. আমরা বনের মধ্যে যাচ্ছিলাম। কোনো কিছুর মধ্যে যাওয়া। through. হঠাৎ অনু আপু অরিন আপুকে বলল, সর্বশেষ কবে ডিম খেয়েছেন? অরিন আপু বলল, আমি সর্বশেষ ডিম খেয়েছিলাম 2017 সালের জানুয়ারি মাসের one তারিখের সকাল eight টায়. বছরের আগে in, মাসের আগে in, দিনের বা তারিখের আগে on, বারের আগে on, সময়ের আগে at. রাজীব ভাই বললেন, ডিম সম্পর্কে আর কিছু বলা যাবে না। সম্পর্কে বোঝালে regarding. আমরা আমরা সন্ধ্যায় সবাই যার যার বাসায় চলে গেলাম। সন্ধ্যার আগে in. 
কেমন লাগলো জানাবেন।। আশা করি ভালো লেগেছে। অনেক preposition শেখা হয়ে গেছে. R acceptable preposition কোনো নিয়ম মানে না. তাই সেগুলো বাক্যে প্রয়োগ করে শিখতে হবে...
Share করে রাখুন পরে আবার পড়তে পারবেন. 

February 05, 2018

পাটিগণিত পিএসসি সহ বিভিন্ন নিয়োগে যা এসেছে তার সহজ টেকনিক

পাটিগণিত  পিএসসি সহ বিভিন্ন নিয়োগে যা এসেছে তার সহজ টেকনিক
পাটিগণিত  পিএসসি সহ বিভিন্ন নিয়োগে যা এসেছে তার সহজ টেকনিক


পাটিগণিত নিয়ে আর চিন্তা নয় পিএসসি সহ বিভিন্ন নিয়োগে যা এসেছে তার সহজ টেকনিক



সরাসরি সংখ্যা নির্নয়,পিতা-পুত্রের বয়স নির্নয় করতে বললে এরকম অনেক সমস্যার সমাধান এই নিয়মে করা যায়।তবে অনুশীলন এর মাধ্যমে দ্রুত করার অভ্যাস করতে হবে।খুব অল্প দিনের মধ্যেই আপনি মুখে মুখেই অতি দ্রুত অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

সরল সমীকরনঃ

ধরি,প্রশ্নটি

১।একটি সংখ্যার অর্ধেক তার এক-ততীয়াংশের চেয়ে ১৭ বেশি,সংখ্যাটি কত?

ক।৫২ খ।৮৪ গ।১০২ ঘ।২০৮

সমাধানঃ ক এর মান যাচাই
৫২ এর অর্ধেক=৫২/২=২৬
৫২ এর এক-ততীয়াংশ=৫২/৩=১৭.৩৩
২৬-১৭.৩৩=৮.৬৭(১৭ হয় না)
কাজেই ক সঠিক নয়।

খ এর মান যাচাই
৮৪ এর অর্ধেক=৮৪/২=৪২
৮৪ এর এক-ততীয়াংশ=৮৪/৩=২৮
৪২-২৮=১৪(১৭ হয় না)
কাজেই খ সঠিক নয়।

গ এর মান যাচাই
১০২ এর অর্ধেক=১০২/২=৫১
১০২ এর এক-ততীয়াংশ=১০২/৩=৩৪
৫১-৩৪=১৭(প্রশ্নের ১৭ এর সাথে মিলে গেছে)
কাজেই গ সঠিক উওর।
গ তে উওর পেয়ে গেছি তাই ঘ যাচাই এর দরকার নাই।

২।একটি সাভাবিক সংখ্যার বর্গের ৯ গুনের সাথে সংখ্যাটি যোগ করলে তা পরবর্তী স্বাভাবিক সংখ্যার সমান হয়।

ক.৭ খ.৮ গ.৯ ঘ.১০

সমাধানঃ
ক এর মান যাচাই
১ম অংশ
৭ এর বর্গ=(৭)২=৪৯
সংখ্যাটির বর্গ+সংখ্যাটি=৪৯+৭
=৫৬
২য় অংশ
পরবর্তী স্বাভাবিক সংখ্যাটি=৭+১=৮
পরবর্তী স্বাভাবিক সংখ্যাটির ৯ গুন=৯*৮=৭২
১ম অংশ ও ২য় অংশ সমান নয়।
কাজেই ক সঠিক নয়।
খ এর মান যাচাই
১ম অংশ
৮ এর বর্গ=(৮)২=৬৪
সংখ্যাটির বর্গ+সংখ্যাটি=৬৪+৮
=৭২
২য় অংশ
পরবর্তী স্বাভাবিক সংখ্যাটি=৮+১=৯
পরবর্তী স্বাভাবিক সংখ্যাটির ৯ গুন=৯*৯=৮১
১ম অংশ ও ২য় অংশ সমান নয়।
কাজেই খ সঠিক নয়।

গ এর মান যাচাই
১ম অংশ
৯ এর বর্গ=(৯)২=৮১
সংখ্যাটির বর্গ+সংখ্যাটি=৮১+৯
=৯০
২য় অংশ
পরবর্তী স্বাভাবিক সংখ্যাটি=৯+১=১০
পরবর্তী স্বাভাবিক সংখ্যাটির ৯ গুন=৯*১০=৯০
১ম অংশ ও ২য় অংশ মিলে গেছে।
কাজেই গ সঠিক উওর।
গ তে উওর পেয়ে গেছি তাই ঘ যাচাই এর দরকার নাই।

৩।কোন সংখ্যার ৪০% এর সাথে ৪২ যোগ করলে ফলাফল হবে সংখ্যাটির সমান।(৩১ তম বিসিএস)

ক।৭০ খ।৮০ গ।৯০ ঘ।৭৫

সমাধানঃ
ক এর মান যাচাই
৭০ এর ৪০%=(৪০/১০০)*৭০
=২৮
সংখ্যাটির ৪০%+৪২
=২৮+৪২=৭০(সংখ্যাটির সমান)
তাই ক সঠিক উওর।
ক তে উওর পেয়ে গেছি তাই খ,গ,ঘ যাচাই এর দরকার নাই।

৪। একটি শ্রেণীতে যত জন বালক ছিল প্রত্যেকে তত টাকা চাঁদা দিলে ১০০ টাকা হয়। বালকের সংখ্যা কত?

ক।১০ খ।১০০ গ।২৫ ঘ।৩৫

সমাধানঃ
ক এর মান যাচাই
বালকের সংখ্যা ১০ হলে প্রত্যেকে ১০ টাকা দিবে।
এক্ষেত্রে মোট টাকা=১০*১০
=১০০
কাজেই ক সঠিক উওর।
ক তে উওর পেয়ে গেছি তাই খ,গ,ঘ যাচাই এর দরকার নাই।

৫।মামুন ২৪০ টাকায় একই রকম কতগুলি কলম কিনে দেখল যে,যদি সে একটি কলম বেশি পেত তাহলে প্রতিটি কলমের মূল্য ১ টাকা কম পড়ত।সে কতগুলো কলম কিনেছিলো?

ক।১৩টি খ।১৪টি গ।১৫টি ঘ।১৬টি

সমাধানঃ
ক এর মান যাচাই
১৩টি কলম কলম প্রতিটির দাম=২৪০/১৩=১৮.৪৬
একটি কলম বেশি পেলে প্রতিটির দাম=২৪০/(১৩+১)=২৪০/১৪=১৭.১৪
দামের ব্যবধান=১৮.৪৬-১৭.১৪=১.৩২(প্রশ্নে ১ টাকা কম হত)
কাজেই ক সঠিক নয়।
খ এর মান যাচাই
১৩টি কলম কলম প্রতিটির দাম=২৪০/১৪=১৭.১৪
একটি কলম বেশি পেলে প্রতিটির দাম=২৪০/(১৪+১)=২৪০/১৫=১৬
দামের ব্যবধান=১৭.১৪-১৬=১.১৪(প্রশ্নে ১ টাকা কম হত)
কাজেই খ সঠিক নয়।
গ এর মান যাচাই
১৩টি কলম কলম প্রতিটির দাম=২৪০/১৫=১৬
একটি কলম বেশি পেলে প্রতিটির দাম=২৪০/(১৫+১)=২৪০/১৬=১৫
দামের ব্যবধান=১৬-১৫=১ (প্রশ্নে ১ টাকা কম হত এর সাথে মিলে গেছে)
কাজেই গ সঠিক উওর।
গ তে উওর পেয়ে গেছি তাই ঘ যাচাই এর দরকার নাই।

৬।দুই অংক বিশিস্ট একটি সংখ্যার এককের অংক দশকের অংক অপেক্ষা ৩ বেশি।সংখ্যাটি এর অংকদ্বয়ের সমস্টির ৩ গুন অপেক্ষা ৪ বেশি।সংখ্যাটি কত?

ক।৪৭ খ।৩৬ গ।২৫ ঘ।১৪

সমাধানঃ
ক এর মান যাচাই
১ম শর্ত
এককের অংক=৭
দশকের অংক=৪
পার্থক্য=৭-৪=৩(প্রশ্নের সাথে ঠিক আছে)
২য় শর্ত
অংকদ্বয়ের সমস্টি=৪+৭=১০
অংকদ্বয়ের সমস্টির ৩ গুন=৩*১০=৩০

সংখ্যাটি অংকদ্বয়ের সমস্টির ৩ গুন অপেক্ষা বেশি=৪৭-৩০=১৭(প্রশ্নের ৪ সাথে মিলে নাই)
কাজেই ক সঠিক নয়।
খ এর মান যাচাই
১ম শর্ত
এককের অংক=৬
দশকের অংক=৩
পার্থক্য=৬-৩=৩(প্রশ্নের সাথে ঠিক আছে)
২য় শর্ত
অংকদ্বয়ের সমস্টি=৩+৬=৯
অংকদ্বয়ের সমস্টির ৩ গুন=৩*৯=২৭

সংখ্যাটি অংকদ্বয়ের সমস্টির ৩ গুন অপেক্ষা বেশি=৩৬-২৭=৯(প্রশ্নের ৪ সাথে মিলে নাই)
কাজেই খ সঠিক নয়।
গ এর মান যাচাই
১ম শর্ত
এককের অংক=৫
দশকের অংক=২
পার্থক্য=৫-২=৩(প্রশ্নের সাথে ঠিক আছে)
২য় শর্ত
অংকদ্বয়ের সমস্টি=২+৫=৭
অংকদ্বয়ের সমস্টির ৩ গুন=৩*৭=২১

সংখ্যাটি অংকদ্বয়ের সমস্টির ৩ গুন অপেক্ষা বেশি=২৫-২১=৪(প্রশ্নের ৪ সাথে মিলে গেছে)
কাজেই গ সঠিক উওর।
(অবশ্যই দুটি শর্তই মিলতে হবে)
গ তে উওর পেয়ে গেছি তাই ঘ যাচাই এর দরকার নাই।

৭।এক ব্যক্তি তার স্ত্রীর চেয়ে ৫ বছরের বড়।তার স্ত্রীর বয়স ছেলের বয়সের ৪ গুন।৫ বছর পরে ছেলের বয়স ১২ হলে বর্তমান ঐ ব্যক্তির বয়স কত?

ক।৬৫ বছর খ।২৮ বছর গ।৩৩ বছর ঘ।৫৩ বছর

সমাধানঃ
ক এর মান যাচাই
বর্তমান ছেলের বয়স=১২-৫=৭
তাহলে স্ত্রীর বয়স=৪*৭=২৮
বর্তমান ঐ ব্যক্তির বয়স স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য=৬৫-২৮=৩৭
(প্রশ্নের ৫ সাথে মিলে নাই)
কাজেই ক সঠিক নয়।
খ এর মান যাচাই
বর্তমান ছেলের বয়স=১২-৫=৭
তাহলে স্ত্রীর বয়স=৪*৭=২৮
বর্তমান ঐ ব্যক্তির বয়স স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য=২৮-২৮=০
(প্রশ্নের ৫ সাথে মিলে নাই)
কাজেই খ সঠিক নয়।
খ এর মান যাচাই
বর্তমান ছেলের বয়স=১২-৫=৭
তাহলে স্ত্রীর বয়স=৪*৭=২৮
বর্তমান ঐ ব্যক্তির বয়স স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য=৩৩-২৮=৫
(প্রশ্নের ৫ সাথে মিলে গেছে)
কাজেই গ সঠিক উওর।
গ তে উওর পেয়ে গেছি তাই ঘ যাচাই এর দরকার নাই।

অনুশীলনঃ

১।দুটি সংখ্যার বিয়োগফল ৩৭ এবং যোগফল বিয়োগফল ১১ গুণ। সংখ্যা দুটি কত?
ক।২০,৫৭ খ।১৯,৫৬ গ।১৮৫,২২২ ঘ।১৭০,২০৭

২।যদি দুটি সংখ্যার গুণফল৯৬এবং সংখ্যা দুটির যোগফল ২২ হয় তবে ছোট সংখ্যাটি কত?
ক।৪ খ।৬ গ।৮ ঘ।কোনটিই নয়

৩।দুই অঙ্কবিশিষ্ট কোনো সংখ্যার দশকের অঙ্কের সাথে ৩ যোগ করলে এবং এককের অঙ্ক থেকে ২ বিয়োগ করলে প্রাপ্ত সংখ্যাটির ৩ গুণ হয়।সংখ্যাটি কত?
ক।১২ খ।১৪ গ।২৪ ঘ।২৮

৪।একটি বই এর মূল্য একটি কলমের মূল্য অপেক্ষা ৭ টাকা কম এবং উক্ত বই এবং কলমের মোট ক্রয়মূল্য ৪৩ টাকা হলে বইটির মূল্য কত?
ক।২৫ খ।২০ গ।২২ ঘ।১৮

৫।দুই অঙ্কবিশিষ্ট একটি সংখ্যার মান ৫৪ যদি অঙ্কদুইটি বিপরীতভাবে লেখা হয়।অঙ্ক দুটির যোগফল ১২ হলে সংখ্যাটি কত?
ক।৪৮ খ।৮৪ গ।৩৯ ঘ।৯৩

৬।পিতার বয়স পুত্রের বয়সের চারগুণ।৬ বছর পূর্বে পিতার বয়স পুত্রের বয়সের দশগুণ ছিল।পিতা ও পুত্রের বর্তমান বয়স কত?
ক।৫৬বছর এবং ১৪ বছর খ।৩২বছর এবং ৭ বছর
গ।৩৬বছর এবং ৯ বছর ঘ।৪০বছর এবং ১০ বছর

৭।একটি তেলপূর্ণ পাত্রের ওজন ৩২ কেজি এবং অর্ধেক তেলসহ পাত্রর ওজন ২০ কেজি।পাত্রটির ওজন কত?
ক।৮ কেজি খ।১০ কেজি গ।১২ কেজি ঘ।৬ কেজি

৮।একটি কলম ও একটি বইয়ের মূল্য একত্রে ৯৫ টাকা।কলমটির মূল্য ১৫ টাকা বেশি ও বইটির মূল্য ১৪ কম হলে কলমটির মূল্য বইটির মূল্যের দ্বিগুণ হতো।বইটির মূল্য কত?
ক।৪৯ টাকা খ।৪৬ টাকা
গ।৫০ টাকা ঘ।৪০ টাকা

ঙ।কোনটিই নয়।

উওরমালাঃ১।গ ২।খ ৩।খ ৪।ঘ ৫।গ ৬।গ ৭।ক ৮।খ

বি.দ্রঃ বয়সের পার্থক্য বা বয়সের পার্থক্য , বয়সের অন্তর, সংখ্যার অন্তর, সংখ্যার সমষ্টি ইত্যাদি নির্ণয় করতে বললে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।এসব সমস্যা সমাধানের সহজ পদ্বতি শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে।

বর্গমূল ও বর্গাকারে সাজানো অতি সহজেই MCQ এর উওর

১।৪২২৫ এর বর্গমূল কত?
ক।৬৪ খ।৬৬ গ।৬৫ ঘ।৬৭
সমাধানঃ
ক এর ক্ষেত্রে
৬৪ এর বর্গ=৬৪*৬৪=৪০৯৬
খ এর ক্ষেত্রে
৬৬ এর বর্গ=৬৬*৬৬=৪৩৫৬
গ এর ক্ষেত্রে
৬৫ এর বর্গ=৬৫*৬৫=৪২২৫
( গ এর বর্গ মিলে গেছে)
কাজেই সঠিক উওর গ।
ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আর ও সহজে করা যায়।

২।০.০০৪৯ এর বর্গমূল কত?
ক।০.০০০৭ খ।০.০০৭ গ।০.০৭ ঘ।০.৭

সমাধানঃ
দশমিকের বর্গমূল এর ক্ষেত্রে দশমিকের পরের অংশ নিয়ে(শূন্য গুলো বাদে) তার বর্গমূল করি।যেমন-০.০০৪৯ এর ক্ষেত্রে ৪৯ এর বর্গমূল ৭।এখন লক্ষ্য করি ০.০০৪৯ এ দশমিকের পর ৪ অঙ্ক আছে।০.০০৪৯ বর্গমূলে দশমিকের পরে ৪ এর অর্ধেক অর্থাৎ ২ অঙ্ক থাকবে। লক্ষ্য করি গ এর উওর ০.০৭ এ দশমিকের পরে ২ অঙ্ক(০ ও ৭)আছে।
কাজেই সঠিক উওর গ।
ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আর ও সহজে করা যায়।

৩।৬৪০০ জন সৈন্যকে বর্গাকারে সাজালে প্রত্যেক সারিতে কতজন থাকবে।
ক।৮১জন খ।৮১জন গ।৮২জন ঘ।৬৪জন

সমাধানঃ
ক এর ক্ষেত্রে
৮১ এর বর্গ=৮১*৮১=৬৫৬১
খ এর ক্ষেত্রে
৮০ এর বর্গ=৮০*৮০=৬৪০০
( খ এর বর্গ মিলে গেছে)
কাজেই সঠিক উওর খ ।
ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে আর ও সহজে করা যায়।

৪।৬৪৬৪ জন সৈন্যকে বর্গাকারে সাজালে কতজন অবশিষ্ট থাকবে?
ক।৭৮জন খ।৫৬জন গ।৬০জন ঘ।৬৪জন

সমাধানঃ
৬৪৬৪ কে ক্যালকুলেটরে বর্গমূল করি।
৬৪৬৪ এর বর্গমূল=৮০.৩৪২
দশমিকের আগের অংশ ৮০ নেই।
৮০ এর বর্গ =৮০*৮০=৬৪০০।
৬৪৬৪-৬৪০০=৬৪
সঠিক উওর ঘ।

৫।৬৪৬৪ জন সৈন্যকে বর্গাকারে সাজাতে আরো কতজন সৈন্য লাগবে?
ক।৫৬জন খ।৭৮জন গ।৯৭জন ঘ।৬৪জন

সমাধানঃ
৬৪৬৪ কে ক্যালকুলেটরে বর্গমূল করি।
৬৪৬৪ এর বর্গমূল=৮০.৩৪২
দশমিকের আগের অংশ ৮০ নেই।৮০ এর সাথে ১ যোগ করি=৮০+১=৮১।
৮১ এর বর্গ =৮১*৮১=৬৫৬১
৬৫৬১-৬৪৬৪=৯৭
সঠিক উওর গ।

ভগ্নাংশ অতি সহজেই MCQ এর উওর

ভগ্নাংশ=লব/হর
যেমনঃ৩/৪
প্রকৃত ভগ্নাংশঃলব বড় ও হর ছোট। যেমনঃ৩/৪
অপ্রকৃত ভগ্নাংশঃলব ছোট ও হর বড়। যেমনঃ৪/৩
দশমিক ভগ্নাংশঃযেমন-১.৫৬৪
সসীম দশমিক=২.৫৬৪(দশমিক এর পর নিদিষ্ট সংখ্যক অঙ্ক।এক্ষেত্রে ৫,৬,৪।৩ টি অঙ্ক)
অসীম দশমিক=১.৭৩……(দশমিক এর পর অসীম সংখ্যক অঙ্ক)
পূনঃপৌনিক দশমিক=১.১৪১৪(দশমিক এর পর একই অঙ্ক বার বার আসবে)
মিশ্র ভগ্নাংশঃ৪(২/৩)
সাধারণ ভগ্নাংশ থেকে দশমিক ভগ্নাংশে রূপান্তরঃ লবকে হর দ্বারা ভাগ করতে হবে।যেমন-১/২ এর দশমিক ভগ্নাংশ ০.৫।
দশমিক ভগ্নাংশ থেকে সাধারণ ভগ্নাংশে রূপান্তরঃদশমিকের ডান পাশের সংখ্যা(কমপক্ষে দুইটি।যেমন-.৫ থাকলে .৫০ ধরতে হবে) ভাগ ১০০(এক্ষেত্রে দশমিকের পর দুইটি অঙ্ক ৫,০ আছে। তাই ১ এর পর দুইটি শূন্য দিয়ে ভাগ দিতে হবে) ।০.৫ দশমিক ভগ্নাংশের সাধারণ ভগ্নাংশ ৫০/১০০।কাটাকাটি করলে হয় ১/২।

ভগ্নাংশের ল.সা.গু এবং গ.সা.গুঃ

ভগ্নাংশের ল.সা.গু =ভগ্নাংশের লবগুলোর ল.সা.গু/ভগ্নাংশের হরগুলোর গ.সা.গু
ভগ্নাংশের গ.সা.গু=ভগ্নাংশের লবগুলোর গ.সা.গু/ভগ্নাংশের হরগুলোর ল.সা.গু
১।৩/৪,২১/১২,৬/৪ এর গ.সা.গু নিচের কোনটি?
ক।১/১২ খ।১/৩ গ।২/২১ ঘ।২১/২

সমাধানঃ
ভগ্নাংশের গ.সা.গু=ভগ্নাংশের লবগুলোর গ.সা.গু/ভগ্নাংশের হরগুলোর ল.সা.গু
লবগুলোর অথাৎ ৩,২১,৬ গ.সা.গু=৩
হরগুলোর অথাৎ ৪,১২,৬ ল.সা.গু=১২
ভগ্নাংশের গ.সা.গু=৩/১২=১/৩(কাটাকাটি করে)
সঠিক উওর খ।

২।৩/৪,২১/১২,৭/২ এর ল.সা.গু নিচের কোনটি?
ক।২১/২ খ।১/১২ গ।২/২১ ঘ।৪/২১

সমাধানঃ
ভগ্নাংশের ল.সা.গু =ভগ্নাংশের লবগুলোর ল.সা.গু/ভগ্নাংশের হরগুলোর গ.সা.গু
লবগুলোর অথাৎ ৩,২১,৭ ল.সা.গু=২১
হরগুলোর অথাৎ ৪,১২,২ গ.সা.গু=২
ভগ্নাংশের ল.সা.গু=২১/২
সঠিক উওর ক।

৩।নীচের কোন ভগ্নাংশটি বড়?
ক.৩/৭ খ.২/৫ গ.৪/৯ ঘ.১/৩

সমাধানঃ
১.হর গুলো গুন করুন।
২.প্রাপ্ত গুনফল দিয়ে প্রতেক ভগ্নাংশকে গুন করুন।
যে ফলাফলটি বড় হবে সেটিই বড় ভগ্নাংশ।
যে ফলাফলটি ছোট হবে সেটিই ছোট ভগ্নাংশ।
৭*৫*৯*৩=৯৪৫
ক।৩/৭*৯৪৫=৪০৫
খ।২/৫*৯৪৫=৩৭৮
গ।৪/৯*৯৪৫=৪২০
ঘ।১/৩*৯৪৫=৩১৫

কাজেই ক সঠিক উওর।

৪।নীচের কোন ভগ্নাংশটি ছোট?
ক.৩/৭ খ.২/৫ গ.৪/৯ ঘ.১/৩

সমাধানঃ
১.হর গুলো গুন করুন।
২.প্রাপ্ত গুনফল দিয়ে প্রতেক ভগ্নাংশকে গুন করুন।
যে ফলাফলটি বড় হবে সেটিই বড় ভগ্নাংশ।
যে ফলাফলটি ছোট হবে সেটিই ছোট ভগ্নাংশ।
৭*৫*৯*৩=৯৪৫
ক।৩/৭*৯৪৫=৪০৫
খ।২/৫*৯৪৫=৩৭৮
গ।৪/৯*৯৪৫=৪২০
ঘ।১/৩*৯৪৫=৩১৫

কাজেই ঘ সঠিক উওর।

৫।০.৪৭৩ কে সাধারণ ভগ্নাংশে পরিণত করলে কত হবে?
ক।৪৭/৯০৯ খ।৪৩/৯৯০ গ।৪৭৩/১০০০ ঘ।৪৭/৯৯৯

সমাধানঃ
দশমিকের পরের অংশ/১০০০( এক্ষেত্রে দশমিকের পর তিনটি অঙ্ক ৪,৭,৩ আছে। তাই ১ এর পর তিনটি শূন্য দিয়ে ভাগ দিতে হবে)
=৪৭৩/১০০০

সঠিক উওর গ।

শতকরা অংক শিখুন সহজে ….
শতকরা হচ্ছে ১০০ এর মধ্যে কত।
শতকরা=(ছোট সংখ্যা /বড় সংখ্যা)*১০০
৭% =৭/১০০
২৫%=২৫/১০০=১/৪(কাটাকাটি করে)

১/২ ভগ্নাংশকে শতকরায় প্রকাশ=(১/২)*১০০
=৫০%

১।১/৫ কে শতকরায় প্রকাশ করলে হয়-
ক।২৫% খ।২০% গ।৫% ঘ।১%

সমাধানঃ
শতকরা=(১/৫)*১০০
=২০%
সঠিক উওর খ।

২।৬০ জন ছাত্রের মধ্যে ৪২ জন ফেল করলে ফেলের হার কত?
ক।৬০% খ।৭০% গ।৮০% ঘ।৯০%

সমাধানঃ
শতকরা=(ছোট সংখ্যা /বড় সংখ্যা)*১০০
=(৪২/৬০)*১০০
=৭০
সঠিক উওর খ।

৩।৬০ জন ছাত্রের মধ্যে ৪২ জন ফেল করলে পাসের হার কত?
ক।২৫% খ।২৮% গ।৩০% ঘ।৩২%

সমাধানঃ
৬০ জনে পাশ=৬০-৪২=১৮
শতকরা=(ছোট সংখ্যা /বড় সংখ্যা)*১০০
=(১৮/৬০)*১০০
=৩০
সঠিক উওর গ।

৪।যদি তেলের মূল্য শতকরা ২৫% বদ্ধি পায় তবে তেলের ব্যবহার শতকরা কত কমালে,তেল বাবদ খরচ বদ্ধি পাবে না।
ক।২০% খ।১৬% গ।১১% ঘ।৯%

সমাধানঃ
২৫% বদ্ধি পাওয়ায় আগে তেলের দাম ১০০ টাকা হলে বর্তমান তেলের দাম=১০০+২৫=১২৫ টাকা
খরচ আগের সমান রাখতে হলে ১২৫ টাকা থেকে ২৫ টাকা খরচ কমাতে হবে(তাহলে খরচ ১০০ থাকবে)।
শতকরা কমাতে হবে=(২৫/১২৫)*১০০
=২০
সঠিক উওর ক।

৫।ক এর বেতন খ এর বেতন অপেক্ষা শতকরা ৩৫ টাকা বেশি হলে খ এর বেতন ক এর বেতন অপেক্ষা কত টাকা কম?
ক।২৭টাকা খ।২৫.৯৩টাকা গ।৪০টাকা খ।২৫.৫০টাকা

সমাধানঃ
ক এর বেতন খ এর বেতন ১০০ হলে তার চেয়ে ৩৫ টাকা বেশি।অথাৎ ক এর বেতন তখন ১০০+৩৫=১৩৫ টাকা।
খ এর বেতন কম ১৩৫ এর মধ্যে ৩৫ টাকা।
শতকরা বেতন কম=(৩৫/১৩৫)*১০০
=২৫.৯৩টাকা
সঠিক উওর খ।

৬।৪৮ সংখ্যাটি কোন সংখ্যার ৬০%?
ক।৫০ খ।৬০ গ।৭০ ঘ।৮০

সমাধানঃ
শতকরা=(ছোট সংখ্যা /বড় সংখ্যা)*১০০
বা,৬০=(৪৮/ বড় সংখ্যা)*১০০
বা,৬০/১০০=৪৮/ বড় সংখ্যা
বা, (৬০/১০০)* সংখ্যা ২=৪৮
বা,৬০* বড় সংখ্যা =৪৮*১০০
বা, বড় সংখ্যা =৪৮০০/৬০
=৮০
সঠিক উওর ঘ।

লাভ-ক্ষতি অতি সহজেই MCQ এর উওর

সূত্রঃ
লাভ=বিক্রয়মূল্য-ক্রয়মূল্য
ক্ষতি= ক্রয়মূল্য- বিক্রয়মূল্য
শতকরা লাভ= *১০০
শতকরা লাভ= (লাভ/ক্রয়মূল্য)*১০০
শতকরা ক্ষতি= (ক্ষতি/ক্রয়মূল্য)*১০০

১।টাকায় ৩টি লেবু কিনে টাকায় ২টি করে বিক্রি করলে শতকরা কত লাভ হবে?
ক।৫০% খ।৩০% গ।৩৩% ঘ।৩১%

সমাধানঃ
৩ টি লেবুর ক্রয়মূল্য =১ টাকা
১ টি লেবুর ক্রয়মূল্য =১/৩ টাকা
আবার,
২ টি লেবুর বিক্রয়মূল্য=১ টাকা
১ টি লেবুর বিক্রয়মূল্য=১/২ টাকা
শতকরা লাভ= *১০০
=*১০০
=৫০
সঠিক উওর ক।

২।একটি দ্রব্য ৩৮০ টাকায় বিক্রয় করায় ২০ টাকা ক্ষতি হলো।ক্ষতির শতকরা হার কত?
ক।৪% খ।৬% গ।৫% ঘ।৭%

সমাধানঃ
২০ টাকা ক্ষতি হওয়ায় ক্রয়মূল্য ৩৮০+২০=৪০০টাকা
শতকরা ক্ষতি=(ক্ষতি/ ক্রয়মূল্য)*১০০
=(২০/৪০০)*১০০
=৫
সঠিক উওর গ।

৩।২০টাকায় ১২টি আমড়া কিনে প্রতিটি ২ টাকা করে বিক্রয় করলে শতকরা কত লাভ হবে?
ক।১২% খ।১৫% গ।২০% ঘ।১০%

সমাধানঃ
১ টি আমড়ার বিক্রয়মূল্য ২ টাকা
১২ টি আমড়ার বিক্রয়মূল্য ১২*২ টাকা
=২৪ টাকা
শতকরা লাভ= *১০০
=*১০০
=২০
সঠিক উওর গ।

৪।৪০ টাকায় ১০টি কলা কিনে ২৫% লাভে বিক্রি করলে ১ টি কলা কত টাকায় বিক্রি করতে হবে?
ক।৮ টাকা খ।৭ টাকা গ।৬ টাকা ঘ।৫ টাকা

সমাধানঃ
১০ টি কলা কিনে ৪০ টাকায়
১ টি কলা কিনে(৪০/১০)টাকায়
=৪ টাকায়
শতকরা লাভ= *১০০
বা,*১০০= শতকরা লাভ
বা,বিক্রয়মূল্য-ক্রয়মূল্য= (ক্রয়মূল্য* শতকরা লাভ)/১০০
বা,বিক্রয়মূল্য-৪=(৪*২৫)/১০০
বা,বিক্রয়মূল্য-৪=১০০/১০০
বা,বিক্রয়মূল্য-৪=১
বা,বিক্রয়মূল্য=৪+১
বা,বিক্রয়মূল্য=৫
সঠিক উওর ঘ।

৫।প্রতি ডজন কমলা ৭৫ টাকায় কিনে প্রতি হালি কত টাকায় বিক্রি করলে ২০% লাভ হবে।
ক।৩০ টাকা খ।২৫ টাকা গ।২৭.৫০ টাকা ঘ।২৮ টাকা

সমাধানঃ
১ ডজন=৩ হালি
৩ হালি কমলা কিনে ৭৫ টাকায়
১ হালি কমলা কিনে (৭৫/৩) টাকায়
=২৫ টাকায়
শতকরা লাভ= *১০০
বা,*১০০= শতকরা লাভ
বা,বিক্রয়মূল্য-ক্রয়মূল্য= (ক্রয়মূল্য* শতকরা লাভ)/১০০
বা,বিক্রয়মূল্য-২৫=(২৫*২০)/১০০
বা,বিক্রয়মূল্য-২৫=৫০০/১০০
বা,বিক্রয়মূল্য-২৫=৫
বা,বিক্রয়মূল্য=২৫+৫
বা,বিক্রয়মূল্য=৩০
সঠিক উওর ক।

৬।একখানা গাড়ির বিক্রয়মূল্য তার ক্রয়মূল্যের ৪/৫ অংশের সমান।শতকরা লাভ বা ক্ষতির হার কত?
ক।ক্ষতি ২০% খ।লাভ ২০%
গ।লাভ ২৫% ঘ।ক্ষতি ২৫%

সমাধানঃ
ক্রয়মূল্য ১ হলে বিক্রয়মূল্য ৪/৫ ।১ এর চেয়ে ৪/৫ ছোট।তাই ক্ষতি হবে।
ক্ষতি= ক্রয়মূল্য- বিক্রয়মূল্য
=১-(৪/৫)
=১/৫
শতকরা ক্ষতি= (ক্ষতি/ক্রয়মূল্য)*১০০
=*১০০
=২০
সঠিক উওর ক।

ঐকিক নিয়ম সহজেই উওর

১ টি কলমের দাম ৫ টাকা হলে ১০ টি কলমের দাম অবশ্যই বেশি হবে । বেশি হলে গুণ হবে।
১ টি কলমের দাম ৫ টাকা
১০ টি কলমের দাম (৫*১০) টাকা
=৫০ টাকা

১০ টি কলমের দাম ৫০ টাকা হলে ১ টি কলমের দাম কম হবে।কম হলে ভাগ হবে।
১টি কলমের দাম (৫০/১০) টাকা হলে ৪ টি কলমের দাম বেশি হবে।বেশি হলে গুন হবে।
১০ টি কলমের দাম ৫০ টাকা
১ টি কলমের দাম(৫০/১০) টাকা
৪ টি কলমের দাম  টাকা
=২০ টাকা

৫ কেজি চাল ১০ জন লোকের ৫ দিন চললে ৫ কেজি চাল ১ জন লোকের বেশি দিন চলবে।বেশি হলে গুণ হবে।
১ জন লোকের (৫*১০) দিন চললে ২ জন লোকের কম দিন চলবে।কম হলে ভাগ হবে।
৫ কেজি চাল ১০ জন লোকের ৫ দিন চলে
৫ কেজি চাল ১ জন লোকের (৫*১০) দিন চলে
৫ কেজি চাল ২ জন লোকের  দিন চলে
=৫ দিন চলে

১ টি কাজ ৮ জন লোক ৩ দিনে করলে ১ জন লোক কাজটি করতে বেশি দিন লাগবে।বেশি হলে গুন হবে।
১ জন লোক (৩*৮)দিনে করলে ৪ জন লোক কম দিনে করতে পারবে।কম হলে ভাগ হবে।
১ টি কাজ ৮ জন লোক ৩ দিনে করে
১ টি কাজ ১ জন লোক (৩*৮) দিনে করে
১ টি কাজ ৪ জন লোক  দিনে করে
=৪ দিনে করে

১ টি কাজ করতে ৫ দিন লাগলে ১/২ অংশ কাজ করলে কম দিন কম দিন লাগবে।
১ টি কাজ করতে ৫ দিন লাগে
১/২ কাজ করতে ৫*(১/২) দিন লাগে
=২.৫ দিন লাগবে

ভগ্নাংশ এর ক্ষেত্রে কম লাগলে গুন ও বেশি লাগলে ভাগ হবে।

১।৩ দিনে একটি কাজের ১/২৭ অংশ শেষ হলে সম্পূর্ণ কাজটি শেষ করতে কত দিন লাগবে?
ক।৮১ দিন খ।৯ দিন গ।২৪৩দিন ঘ।২৭ দিন

সমাধানঃ
১/২৭ অংশ কাজ করতে লাগে ৩ দিন
১ বা সম্পূর্ণ কাজ করতে লাগে =৩/(১/২৭) দিন
=৮১ দিন
সঠিক উওর ক।

২।৩ দিনে একটি কাজের ১/২৭ অংশ শেষ হলে ঐ কাজের ৩ গুণ কাজ করতে কত দিন লাগবে?
ক।৮১ দিন খ।৯ দিন গ।২৪৩ দিন ঘ।২৭ দিন

সমাধানঃ
১/২৭ অংশ কাজ করতে লাগে ৩ দিন
১ বা সম্পূর্ণ কাজ করতে লাগে =৩/(১/২৭) দিন
৩ গুণ কাজ করতে লাগে =৩*৩(১/২৭)
=২৪৩ দিন
সঠিক উওর গ।

৩।রহিম ১ সপ্তাহে ৪৯ টি চেয়ার বানাতে পারে।২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সে কয়টি চেয়ার বানাতে পারবে।
ক।২১০টি খ।২৩০টি গ।১৯৬টি ঘ।কোনটিই নয়

সমাধানঃ
১ সপ্তাহ =৭ দিন
২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস=২৮ দিন
৭ দিনে চেয়ার বানায় ৪৯ টি
১ দিনে চেয়ার বানায় ৪৯/৭ টি
২৮ দিনে চেয়ার বানায় (৪৯/৭)*২৮ টি
=১৯৬ টি
সঠিক উওর গ।

৪।৮ মাসে ২০০ টাকার যত লাভ হয়,কত মাসে ৪০০ টাকার তত লাভ হয়?
ক।২ মাস খ।৩ মাস
গ।৪ মাস ঘ।৬ মাস

সমাধানঃ
২০০ টাকার যে লাভ ৮ মাসে হয়
১ টাকার সে লাভ ৮*২০০ মাসে হয়
৪০০ টাকার সে লাভ (৮*২০০)/৪০০ মাসে হয়
=৪ মাসে
সঠিক উত্তর গ।

সরল মুনাফা একই সূত্র ব্যবহার করে সকল সমস্যার সমাধান।

অনুশীলন এর মাধ্যমে দ্রুত করার অভ্যাস করতে হবে।খুব অল্প দিনের মধ্যেই আপনি মুখে মুখেই অতি দ্রুত অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
সূএঃ১। মুনাফা=(আসল*সময়*সুদের হার)/১০০
বা, I=Pnr
I=সুদ
P= আসল
n= সময়
r= সুদের হার
সূএঃ২। মুনাফাআসল=আসল+মুনাফা

১।৫% হারে ৫৪০ টাকার ৪ বছরের মুনাফা কত?
ক. ১০০ খ.১০৮
গ.১০৭ ঘ.১০৯

সমাধানঃ
মুনাফা=(মুলধন*সময়*মুনাফারহার)/১০০
বা, I=Pnr
=(৫৪০*৪*৫)/১০০
=১০৮
সঠিক উওর খ।

২।৫% হারে কত টাকার ৪ বছরের মুনাফা আসলে ৬৪৮ হবে?
ক.৫৪৫ খ.৫৪০
গ.৫৫০ ঘ.৫৩৫

সমাধানঃ
I=Pnr
I=সুদ
P= আসল
n= সময়
r= সুদের হার
প্রশ্নে আসল ও সুদ দেওয়া নেই।তাই উওর এর অপসন থেকে আসল নিয়ে মান যাচাই করব।
ক এর মান যাচাই
I=Pnr
বা, I=৫৪৫*৪*৫/১০০
=১০৯
সুদাসল=আসল+সুদ
=৫৪০+১০৯
=৬৪৯
ক সঠিক উওর নয়।
খ এর মান যাচাই
I=Pnr
বা, I=৫৪০*৪*৫/১০০
=১০৮
সুদাসল=আসল+সুদ
=৫৪০+১০৮
=৬৪৮(উওর এর সাথে মিলে গেছে)
সঠিক উওর খ।
খ তে সঠিক উওর পেয়ে গেছি।তাই গ,ঘ এর মান যাচাই এর দরকার নাই।

৩।বার্ষিক সুদের হার ৫% থেকে হ্রাস পেয়ে ৪(৪/৩)%হওয়ায় এক ব্যক্তির ৮০ টাকা আয় কমে গেল।তার মূলধন কত?
ক।৩২০০টাকা খ।৩২০০০ টাকা
গ।২৪০০০টাকা ঘ।৩৬০০০টাকা

সমাধানঃ
সুদের হারের পার্থক্য=৫-৪(৩/৪)(এতাই সুদের হার হবে)
সুদের পার্থক্য=৮০(এতাই সুদ হবে)
I=Pnr
বা,P=I/nr
বা,P=৮০//১০০}

=৩২০০০
ক সঠিক উওর।

৪।সরল সুদের হার শতকরা কত হলে যে কোন মূলধন ৮ বছরে সুদে-আসলে তিনগুন হবে?
ক।১২.৫০ টাকা খ।২০ টাকা
গ।২৫ টাকা ঘ।১৫ টাকা

সমাধানঃ
আসল না থাকলে আসল ১০০ ধরতে হবে।
সুদে-আসলে তিনগুন হলে ৩০০ হবে।
সুদ= সুদ-আসলে
=৩০০-১০০
=২০০
I=Pnr
বা,r=I/Pn
বা,r=(২০০*১০০)/(১০০*৮)
বা,r=২৫
গ সঠিক উওর।
৫।৬% সরল সুদে ৮০০ টাকার কত বছরের সুদ ৪৮০ টাকা হবে?
ক।৪ বছর খ।৫ বছর
গ।৬ বছর ঘ।১০ বছর

সমাধানঃ
I=Pnr
বা,n=I/Pr
বা,n=৪৮০/৮০০*(৬/১০০)
বা,n=১০
সঠিক উওর ঘ।

বি.দ্রঃ I=Pnr এর যে রাশিটি বের করতে হবে তা বাদে বাকি সব রাশির মান প্রশ্নে দেওয়া থাকলে সরাসরি I=Pnr সূত্র দ্বারা বের করা যায়।যেমনঃ ১নং এ I,n,r এর মান দেওয়া আছে P বের করতে হবে।২নং এ P বের করতে হবে প্রশ্নে n,r দেওয়া আছে কিন্তু I এর মান দেওয়া নাই।তাই প্রশ্নের অপশন থেকে I=Pnr অনুসারে সত্যতা যাচাই করে উওর বের করা যায়।

বিভাজ্য সংক্রান্ত সমস্যা

১।৮৪ ও ১২ এর মধ্যে কয়টি সংখ্যা ৪ দ্বারা বিভাজ্য(৮৪ ও ১২ সহ)?
ক.১৮টি খ.১৯টি গ.২০টি ঘ৮টি

সমাধানঃ
৮৪ ও ১২ এর মধ্যে বিভাজ্য সংখ্যা(৮৪ ও ১২ সহ)
=+১
=(৭২/৪)+১
=১৮+১
=১৯
সঠিক উত্তর খ

২।৮৪ ও ১২ এর মধ্যে কয়টি সংখ্যা ৪ দ্বারা বিভাজ্য(৮৪ ও ১২ বাদে)?
ক.১৭টি খ.১৮টি গ.১৯টি ঘ২০টি

সমাধানঃ
৮৪ ও ১২ এর মধ্যে বিভাজ্য সংখ্যা(৮৪ ও ১২ বাদে)
=-১
=(৭২/৪)-১
=১৮-১
=১৭
সঠিক উত্তর ক

৩।২৫৫ থেকে কত বিয়োগ করলে সংখ্যাটি ৯,১৫,২৫ দ্বারা
নিঃশেষে বিভাজ্য?
ক.২৫ খ.৩০ গ.৩৫ ঘ.৪০

সমাধানঃ
৯,১৫,২৫ সংখ্যা তিনটি বিভাজ্য হবে এদের ল.সা.গু দ্বারা
৯,১৫,২৫ এর ল.সা.গু=২২৫
২৫৫ থেকে বিয়োগ করতে হবে=২৫৫-২২৫
=৩০
সঠিক উত্তর খ

৪।১৯৭ এর সাথে কত যোগ করলে সংখ্যাটি ৯,১৫,২৫ দ্বারা ভাগ করলে নিঃশেষে বিভাজ্য হবে?
ক.২৫ খ.২৭ গ.২৮ ঘ.২৯

সমাধানঃ
৯,১৫,২৫ সংখ্যা তিনটি বিভাজ্য হবে এদের ল.সা.গু দ্বারা
৯,১৫,২৫ এর ল.সা.গু=২২৫
১৯৭ এর সাথে যোগ করতে হবে=২২৫-১৯৭
=২৮
সঠিক উত্তর গ

৫।১২,৫১,২৪৩ সংখ্যা তিনটিই কত দ্বারা বিভাজ্য হবে?
ক.২ খ.৩ গ.৪ ঘ.৫

সমাধানঃ
১২,৫১,২৪৩ সংখ্যা তিনটি বিভাজ্য হবে এদের গ.সা.গু দ্বারা
১২,৫১,২৪৩ এর গ.সা.গু =৩

সঠিক উত্তর খ।

লসাগু ও গসাগু

দুইটি সংখ্যার গুনফল=সংখ্যা দুইটির লসাগু*গসাগু।
বা,একটি সংখ্যা*অপর সংখ্যা=সংখ্যা দুইটির লসাগু*গসাগু

১।দুইটি সংখ্যার গুনফল ১৫৩৬।সংখ্যা দুইটির লসাগু ৯৬ হলে গসাগু কত?
ক।১৬ খ।২৪ গ।৩২ ঘ।১২

সমাধানঃ
দুইটি সংখ্যার গুনফল=সংখ্যা দুইটির লসাগু*গসাগু
বা,সংখ্যা দুইটির লসাগু*গসাগু= দুইটি সংখ্যার গুনফল
বা,গসাগু= দুইটি সংখ্যার গুনফল/ সংখ্যা দুইটির লসাগু
বা,গসাগু=১৫৩৬/৯৬
বা,গসাগু=১৬
সঠিক উওর ক।
লসাগু নির্ণয়ঃ

২।৪ ও ৬ এর লসাগু কত?
ক.২৪ খ.১৬ গ.১৮ ঘ.১২

সমাধানঃ
লসাগু এর ক্ষেত্রে (লসাগু / যে সংখ্যাসমূহের লসাগু) করে দেখতে হবে। সব কয়টি অপশন ভাগ করে ভাগফল পূর্নসংখ্যা ও ছোট হবে সেটিই হবে সঠিক উওর।
ক এর মান যাচাই
২৪/৪=৬
২৪/৬=৪
খ এর মান যাচাই
১৬/৪=৪
১৬/৬=২.৬৬
পূর্নসংখ্যা নয়।তাই
খ সঠিক উওর নয়।
গ এর মান যাচাই
১৮/৪=৪.৫
১৮/৬=৩
পূর্নসংখ্যা নয়।তাই
গ সঠিক উওর নয়।
ঘ এর মান যাচাই
১২/৪=৩
১২/৬=২
ক ও ঘ উভয় ভাগফল পূর্নসংখ্যা এবং ক এর ভাগফল এর চেয়ে ঘ এর ভাগফল ছোট। তাই ঘ সঠিক উওর ।
গসাগু নির্ণয়ঃ

৩।১২ ও ১৬ এর গসাগু কত?
ক.২ খ.৩ গ.৬ ঘ.৪

সমাধানঃ
গসাগু এর ক্ষেত্রে (যে সংখ্যাসমূহের গসাগু /গসাগু) করে দেখতে হবে। সব কয়টি অপশন ভাগ করে ভাগফল পূর্নসংখ্যা ও ছোট হবে সেটিই হবে সঠিক উওর।

ক এর মান যাচাই
১২/২=৬
১৬/২=৮
খ এর মান যাচাই
১২/৩=৪
১৬/৩=৫.৩৩
গ এর মান যাচাই
১২/৬=২
১৬/৬=২.৬৬
ঘ এর মান যাচাই
১২/৪=৩
১৬/৪=৪
ক ও ঘ উভয় ভাগফল পূর্নসংখ্যা এবং ক এর ভাগফল এর চেয়ে ঘ এর ভাগফল ছোট।
তাই ঘ সঠিক উওর ।
February 05, 2018

মঙ্গলকাব্যের খুঁটিনাটি


মঙ্গলকাব্যের খুঁটিনাটি
মঙ্গলকাব্যের খুঁটিনাটি 


মঙ্গলকাব্য
পূর্ব প্রকাশের পর থেকে...

মঙ্গলকাব্যঃ
মঙ্গল অর্থ শুভ বা কল্যাণ। মধ্যযুগে হিন্দু ধর্মাবল্বী দিবদেবী নির্ভর এক আখ্যান(কাহিনী) কাব্য রচনা করেন যা মঙ্গল কাব্য নামে পরিচিত। মঙ্গলকাব্যের রচনাকাল পঞ্চদশ শতাব্দী থেকে অষ্টাদশ শতাব্দী পর্যন্ত( প্রায় চারশত বছর)। মঙ্গলকাব্যের নামকরণ হবার কারণ ২টি।
১. এক মঙ্গলবার পাঠ শুরু করে আর এক মঙ্গল বার শেষ করা হতো
২. মঙ্গল কাব্য পাঠ করলে বা শ্রবণ করলে বা ঘরে রাখলে সকল মঙ্গল সাধিত হত।

মঙ্গলকাব্যের শাখা তিনটি
যথা: 
১. মনসামঙ্গল
২. চন্ডীমঙ্গল
৩. ধর্মমঙ্গল।

তিনটি শাখার আদি কবি যথাক্রমে:

১. মনসা মঙ্গল – কানা হরি দত্ত।
২. চন্ডীমঙ্গল – আদি কবি- মানিক দত্ত (চর্তুদশ শতক),
প্রধান কবি- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। উপাধি- “কবি কঙ্কণ”
৩. ধর্মমঙ্গল – ময়ুর ভট্ট।

অন্নদা মঙ্গল কাব্যের প্রধান কবি ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর। মনসা মঙ্গল কাব্যের অপর নাম-পদ্মপূরাণ (১৪৯৮ খ্রীঃ)। মনসা মঙ্গল কাব্যের কয়েকজন কবির নাম হল- নারায়ণ দেব, বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস পিপিলাই, দ্বিজবংশীদাস।বিপ্রদাস পিপিলাই রচিত মনসামঙ্গল কাব্যের নাম “মনসা বিজয়”। মধ্যযুগের সবচাইতে প্রতিবাদী চরিত্র মনসা মঙ্গল কাব্যের চাঁদ সওদাগর। মনসামঙ্গল কাব্যের ২২ জন ছোট-বড় কবিকে একত্রে বাইশা বলা হয়। মঙ্গল ধারার তথা মধ্যযুগের শেষ কবি ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর। ভারত চন্দ্রকে “গুণাকর” উপাধি দেন নবদ্বীপ বা নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র। “চৈতন্যমঙ্গল” ও “ গোবিন্দ মঙ্গল” কাব্য দুটির শেষে মঙ্গল থাকলেও এগুলো মঙ্গল কাব্য নয় এগুলো বৈষ্ণব সাহিত্যের অংশ। একটি স্বার্থক মঙ্গল কাব্যের বৈশিষ্ট্য ৫ টি।

লেকচার - ৩ বাংলা সাহিত্যের যুগ বিভাগ (মধ্যযুগ ও অন্যান্য এর শেষাংশ)
---------------------------------------------------------------------------------
মুসলিম সাহিত্যঃ
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর (১৫ শতক)
“ইউসুফ-জোলেখা” কাব্যগ্রন্থটি লিখেছেন শাহ মুহম্মদ সগীর, গিয়াস উদ্দিন আযম শাহ এর আমলে।
শাহ মুহম্মদ সগীর বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক কবি এবং ইউসুফ-জোলেখা বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক কাব্য।
ইউসুফ-জোলেখা আরও লিখেন আব্দুল হাকিম, ফকির গরীবুল্লাহ, ফকির মুহম্মদ প্রমুখ।
দৌলত উজ়ির বাহরাম খান রচিত কাব্য – লায়লী-মজনু, জঙ্গনামা।
কোরেশী মাগন ঠাকুরের উতসাহে আলাওল কাব্য রচনা করেন।
কোরেশী মাগন ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থ – চন্দ্রাবতী
মর্সিয়া আরবী শব্দ যার অর্থ শোক করা, বিলাপ করা।
মর্সিয়া সাহিত্যের আদিকবি শেখ ফয়জুল্লাহের গ্রন্থের নাম জয়নাবে চৌতিশা।
আব্দুল হাকিমের রচিত কাব্য ইউসুফ-জোলেখা, নূরনামা
আলাওল এর রচিত কাব্যগ্রন্থ – পদ্মাবতী, সয়ফুলমূলক, বদিউজ্জামান, সিকান্দার নামা,

অনুবাদ সাহিত্যঃ
সংস্কৃত ভাষায় লিখিত পৌরাণিক কাব্য মহাভারতের মূল রচয়িতা কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন ব্যাস দেব।
মহাভারত প্রথম বাংলা অনুবাদ করেন কবীন্দ্র পরমেশ্বর।
সুলতান হোসেন শাহের সেনাপতি পরাগল শাহ’র পৃষ্ঠপোষকতায় কবীন্দ্র পরমেশ্বর মহাভারত রচনা করেন যা“পরাগলী মহাভারত” নামে পরিচিত।
সংস্কৃত ভাষায় লিখিত পৌরাণিক মহাকাব্য রামায়ণের মূল রচয়িতা বাল্মীকি।
রামায়ণ প্রথম বাংলায় অনুবাদ করেন কৃত্তিবাস ওঝা।
রামায়ণের প্রথম মহিলা অনুবাদক – চন্দ্রাবতী।
শাহনামা মৌলিক গ্রন্থের রচয়িতা – ইরানের কবি ফেরদৌসি, বাংলা অনুবাদক – মোজাম্মেল হক।

গীতিকাঃ
আখ্যানমূলক লোকগীতি বাংলাসাহিত্যে গীতিকা নামে পরিচিত।
“গীতিকা” – কে ইংরেজীতে বলা হয় Ballad, যা ফারসিতে Ballet বা নৃত্য শব্দ থেকে এসেছে।
মৈমনসিংহ গীতিকা ২৩ টি ভাষায় অনূদিত হয়।
১৯২৩ সালে “মৈমনসিংহ গীতিকা” নামে সংকলন প্রকাশিত হয়।
“মহুয়া” পালাটির রচয়িতা দ্বিজ কানাই এবং “দেওয়ানা মদিনা” পালাটির রচয়িতা মনসুর বয়াতি।

পুঁথি সাহিত্যঃ
অষ্টাদশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে আরবি-ফারসি শব্দ মিশ্রিত কাব্যকে দোভাষী পুঁথি বলে।
“ফকির গরীবুল্লাহ” পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সার্থক ও জনপ্রিয় কবি।
পুঁথি সাহিত্যের ভাষায় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ইসলামী চেতনা সম্পৃক্ত।
দোভাষী বাংলা রচিত পুঁথি সাহিত্যকে বলা হয় – বটতলার পুঁথি।

কবিওয়ালা ও শায়েরঃ
কবিওয়ালা ও শায়েরের উদ্ভব আঠারো শতকের মাঝামাঝি থেকে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে।
আরবি-ফারসি-হিন্দি-উর্দু ভাষার মিশ্রণে মুসলমানের কাব্য রচয়িতাদের বলা হতো –শায়ের।
কবিতাকে যারা জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসেবে গ্রহণ করত তাদের বলা হতো – কবিওয়ালা।

কবিগানঃ
দুই পক্ষের তর্ক ও বিতর্কের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত গানকে কবিগান বলা হয়
কবিগানের আদিগুরু গোঁজলা গুই, শ্রেষ্ঠ রচয়িতা – হরু ঠাকুর
কবিগান রচনা ও পরিবেশনায় বিশেষভাবে সুখ্যাতি লাভ করেছিলেন এন্টনি ফিরিঙ্গি ও রামপ্রসাদ রায়।

টপ্পাগানঃ
টপ্পাগান এর উদ্ভব- কবিগানের সমসাময়িককালে, হিন্দি টপ্পাগান এর আদর্শে।
বাংলা টপ্পাগানের জনক-নিধুবাবু বা রামনিধি গুপ্ত
আধুনিক বাংলা গীতিকবিতার সুত্রপাত – টপ্পাগান থেকে
টপ্পাগানের রচয়িতা – কালী মির্জা ও শ্রীধর কথক
পাঁচালীগানঃ
পাঁচালীগানের শক্তিশালী কবি – দাশরথি রায় /দাশু রায়
তার পাঁচালী পালা প্রকাশ হয়েছিল দশ খন্ডে

লোকসাহিত্যঃ
ইংরেজীতে traditional knowledge শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ “লোকসাহিত্য”।
জনসাধারণের মুখে মুখে প্রচলিত গান, কাহিনী, গল্প, ছড়া, প্রবাদ – লোকসাহিত্য।
লোকসাহিত্যের উপাদান জনশ্রুতিমূলক বিষয় এবং প্রাচীনতম সৃষ্টি ছড়া।
“হারামণি” হলো প্রাচীন লোকগীতি, এর সংকলক- মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন।
ড. আশুতোষ ভট্রাচার্য লোককথাকে – রূপকথা, উপকথা এবং ব্রতকথা এই তিন ভাগে ভাগ করেছেন।
ঠাকুরমার ঝুলি, ঠাকুরদাদার ঝুলি, ঠানদাদার থলে প্রভৃতি জনপ্রিয় রূপকথার সংকলক – দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার।
পশুপক্ষীর চরিত্র অবলম্বনে রচিত কাহিনীকে বলে – উপকথা যেমনঃ ঈশপের উপকথা।
মেয়েলী ব্রতে সঙ্গে সম্পর্কিত কাহিনী অবলম্বনে রচিত লোককথাই – ব্রতকথা।
February 05, 2018

ফিবোনাচ্চি রাশিমালা (Fobonacci Sequence) সহজ নিয়মে সমাধান


Fibonacci Sequence
Fibonacci Sequence

.^^^^^^^^ফিবোনাচ্চি রাশিমালা^^^^^^_

ফিবোনাচ্চি রাশিমালা (Fibonacci series) শুধুমাত্র গণিত নয় বরং প্রকৃতিরও অনেক রহস্যে উন্মোচন ঘটাতে সক্ষম বলে অনেকের ধারণা। স্বয়ং ফিবোনাচ্চি রাশিমালার আবিষ্কারক ত্রয়োদশ শতাব্দীর বিখ্যাত গণিতবিদ sculpturer prosecutor Pisa (ডাকনাম Fibonacci) বলে গেছেন, "প্রকৃতির মূল রহস্য এ রাশিমালাতে আছে"। ফিবোনাচ্চি হল আসলে একটা সিম্পল সিরিজ নাম্বার। এ সিরিজটি শুরু হয় ০ থেকে এবং সিরিজের পরবর্তী সংখ্যা গুলো প্রতিটি তার পূর্ববর্তী দুইটি সংখ্যার যোগফল।

^^^রাশিমালা ও বৈশিষ্ট্য সম্পাদনা----

এই শ্রেণীর যে কোন সংখ্যা তার পূর্ববর্তী দুটি সংখ্যার যোগফলের সমান। যেমনঃ
০+১=১,
১+১=২,
২+১=৩,
৩+২=৫,
৫+৩ =৮, … … … ইত্যাদি।

ঠিক বিপরীতভাবে যেকোন সংখ্যা তার পরবর্তী দুটি সংখ্যার বিয়োগফলের সমান। অর্থাৎ
ফিবোনাচ্চি রাশিমালার প্রথম ২১ টি রাশি হলঃ
F0 F1 F2 F3 F4 F5 F6 F7 F8 F9 F10 F11 F12 F13 F14 F15 F16 F17 F18 F19 F20
০ ১ ১ ২ ৩ ৫ ৮ ১৩ ২১ ৩৪ ৫৫ ৮৯ ১৪৪ ২৩৩ ৩৭৭ ৬১০ ৯৮৭ ১৫৯৭ ২৫৮৪ ৪১৮১ ৬৭৬৫
এই শ্রেণীর যেকোন চারটি সংখ্যা নেওয়া হলে প্রথম ও চতুর্থ সংখ্যার যোগফল থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যার যোগফল বিয়োগ দিলে সবসময় ওই চারটি সংখ্যার প্রথমটি পাওয়া যাবে। যেমনঃ আমরা ফিবোনাচ্চি শ্রেণী থেকে পরপর যেকোন চারটি সংখ্যা ৫, ৮, ১৩, ২১ নেওয়া হলে,
প্রথম ও চতুর্থ সংখ্যার যোগফল= ৫+২১=২৬
দ্বিতীয় ও তৃতীয় যোগফল= ৮+১৩=২১
বিয়োগফল= ২৬-২১=৫ (ওই চারটি সংখ্যার প্রথম সংখ্যা)
এই শ্রেণীর যেকোন পাঁচটি সংখ্যা নেওয়া হলে প্রথম ও চতুর্থ সংখ্যার গুনফল থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যার গুণফল বিয়োগ দিলে সবসময় বিয়োগফল ১ বা -১ হবে। যেমনঃ আমরা ফিবোনাচ্চি শ্রেণী থেকে পরপর যেকোন পাঁচটি সংখ্যা ৫, ৮, ১৩, ২১, ৩৪ নেওয়া হলে,
প্রথম ও চতুর্থ সংখ্যার গুনফল= ৫*২১=১০৫
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যার গুনফল= ৮*১৩=১০৪
বিয়োগফল= ১০৫-১০৪=১

আবার,

দ্বিতীয় ও পঞ্চম সংখ্যার গুনফল= ৮*৩৪=২৭২
তৃতীয় ও চতুর্থ সংখ্যার গুনফল= ১৩*২১=২৭৩
বিয়োগফল= ২৭২-২৭৩=-১
এবার ফিবোনাচ্চি শ্রেণীর সংখ্যাগুলির একক অঙ্কের সংখ্যাগুলিও ফিবোনাচ্চি শ্রেণীকে অনুসরণ করে। 

যেমনঃ
১৩, ২১, ৩৪, ৫৫, ৮৯, ১৪৪, ২৩৩, ৩৭৭, ৬১০, ৯৮৭,………………. শ্রেণীর একক অঙ্কের সংখ্যা ৩, ১, ৪, ৫, ৯, ৪, ৩, ৭, ০, ৭, …………………… ফিবোনাচ্চি শ্রেণীকে অনুসরণ করছে।

ফিবোনাচ্চি শ্রেণীর প্রতি ৬০টি সংখ্যার পর এককের ঘরে এই সংখ্যাগুলির পুনরাবৃত্তি ঘটে, 
যেমনঃ
৬০ তম সংখ্যা= ১৫৪৮০০৮৭৫৫৯২০
৬১ তম সংখ্যা= ২৫০৪৭৮০৭৮১৯৬১
৬২ তম সংখ্যা= ৪০৫২৭৩৯৫৩৭৮৮১
৬৩ তম সংখ্যা= ৬৫৫৭৪৭০৩১৯৮৪২
৬৪ তম সংখ্যা= ১০৬১০২০৯৮৫৭৭২৩
৬৫ তম সংখ্যা= ১৭১৬৭৬৮০১৭৭৫৬৫

---- প্রয়োগ সম্পাদনা::::::

১. সূর্যমুখী ফুলের পাপড়ির বিন্যাস
২. শামুকের স্পাইরাল তথা প্যাঁচ। যেমন: নটিলাস ঝিনুকের খোল, পাইন গাছের মোচা।
৩. মৌমাছির পরিবার তন্ত্র
৪. ফুলকপির বিন্যাসে
৫. বিভিন্ন গাছের শাখা বিন্যাসে

__ফিবোনাচ্চি রাশিমালার ধারনাকেন্দ্রিক গ্রন্থ সম্পাদনা

১. শূন্য - হুমায়ূন আহমেদ
২. দ্য দা ভিঞ্চি কোড - ড্যান ব্রাউন
January 25, 2018

10 Tips And Tricks For Bcs Preliminary Exam


Ten Tips And Tricks For Bcs Preliminary Exam
10 Tips And Tricks For Bcs Preliminary Exam


10 Tips And Tricks For Bcs Preliminary Exam

You want to require BCS preparation or BCS Preliminary preparation with success, right?
But ar you taking your BCS preparation adopting wrong strategies? does one extremely apprehend the proper approach of taking BCS Preparation?

If you don’t savvy to require BCS preparation, particularly the way to take BCS Preliminary preparation with success, simply and effectively, then these following tips ar for you.
I guess you’ve already started taking BCS communicating preparation, particularly BCS Preliminary preparation.

Yes, it's as a result of you’re a wise guy and need to induce a wise BCS cadre job!
Definitely, it's as a result of you wish to possess a royal position. you wish power, honour, money, and so on. That’s why you wish to pass the primary tough-hurdle particularly BCS prelim then you’re serious regarding your BCS Preparation.

I am currently a BCS cadre officer and are in my job since August, 2011 through qualifying twenty ninth BCS communicating. I needed an equivalent as you are doing currently to pass BCS prelim taking a rock-solid BCS Preliminary preparation. I had been dreaming to be a BCS cadre officer for quite an lasting.

Have you been dreaming too?
Actually, if you don’t have a dream or aim, you may go obscurity. Perhaps, You’ll ne'er be ready to beat the monster-like the BCS prelim. If you’re serious and not casual, you'll dream to be a BCS Cadre.

Of course, it's a tricky journey to be a BCS cadre officer. however it's extremely possible and you'll well get through BCS prelim. Yes, you'll create it happen if you follow the proper ways to require bcs communicating preparation.

But does one savvy begin|to start out|to begin} off? however are you able to start getting ready for BCS preliminary exam? maybe, you're beating regarding the bush. I doubt you've got ventured some unneeded things that ar extremely NOT necessary to require a solid BCS preparation or a good BCS Preliminary preparation.

Okay. Don’t feel hazy and utter helpless. simply follow my example and do what I did to require bcs preparation at intervals a really short time:

Start taking BCS preparation nowadays to beat the BCS prelim hurdle.
Don’t hesitate any longer and ne'er doubt your quality-level. be told that the BCS cadres WHO ar in their jobs currently weren't divine in any respect. Most of them were mediocre students and didn’t have super educational results or records. eighty % of the self-made BCS officers aren't a lot of worthy than you.

BCS communicating success isn’t for the proficient students solely, rather BCS communicating success belongs to people who ar regular and high in their BCS preparation. So, don’t waste some time, begin from nowadays. You’ll positively overcome BCS prelim with success if you only will kick-start your BCS Preliminary preparation nowadays.

Prepare a study-schedule that you simply will simply follow.
Most of the candidates prepare a really impossible routine with a read to taking BCS preparation. a number of the candidates even don’t have a routine to require BCS Preliminary preparation during a disciplined way! you want to follow a study schedule to finish your assignments at intervals due time.
A smart schedule can free you from untidy and unwanted study-stress nonetheless it'll keep you beneath a healthy pressure. ne'er allot a large quantity of your time for one subject, nor underestimate the simple subjects you think that of. Mind it your prelim success not solely depends on arithmetic, English or Science subjects alone however conjointly on the opposite simple subjects like National Affairs or Bangla or remainder of the topics within the info you've got.

Keep your blade and Armour prepared
Your schedule of BCS preparation are pissed off unless you retain all the mandatory books and particles able to study and follow the routine work-schedule strictly. So, collect necessary books and sheets as quickly as you'll. There ar several established firms that publish books on regular intervals on the newest data and updates.

BCS Preparation Books for BCS Preliminary Preparation:
‘Professors Prokashony’s ‘Current Affairs’, Salatamami, Ajker Bishwa ar some mention able ones you'll follow for taking BCS Preliminary preparation. you'll purchase the books of Oracle Publications and MP3 conjointly.

You must collect the text Books of ‘General Science’ and ‘General Math’ of Class-7 to Class-9. Collect the text book of ‘Geography’ of Class-8 too. To revise the essential Bangla Grammatical topics, you want to have the Bangla descriptive linguistics text book of Class-9.

Purchase the initial and latest version of ‘The Constitution of the Peoples Republic of Bangladesh’. offer special attention to the ‘Articles No-26 to 44’.These articles can bring extra edges to your BCS written communicating too. These books for BCS preparation are vastly useful.
Spend a minimum of 2 Hours for Reading Newspapers

Newspapers ar essential tools to stay you recent regarding the present and therefore the most talked regarding happenings of home and abroad. while not newspaper you're within the battle field of BCS prelim while not your prime weapon to fight.

You must bear a minimum of one Bangla and one English newspaper daily to beef-up your BCS preparation. you'll keep ‘Prothom Alo’ or ‘The Daily Star’ frequently. you'll bear the favored on-line newspaper portals like b dnews24. com . The a lot of you’re informed; the higher is your probability to qualify within the BCS Preliminary take a look at.

Learn ‘how to require notes’ from your study for BCS communicating preparation.
Lots of necessary data is there in your collected sensible books and newspapers. however if you don’t write down the necessary data during a diary otherwise you don’t create your own archives of subject-related data, those readings ar virtually useless. You can’t catch an entire newspaper or articles of the previous date/s to seek out a skipped over or lost data.

A smart candidate can’t afford such a stupidity, no approach and ne'er. So, keep a pen and a marker with you. Keep your dairy farm hospitable write necessary notes or a bit of valuable data whereas you're finding out books or reading newspapers.

Arrange a ‘Group Study Circle’ for BCS communicating Preparation.
Group study could be a top-notch and extremely effective approach of getting ready for your BCS prelim. A healthy and routine-based cluster study will boost your level of potency as a BCS communicating candidate.

A group study circle helps a BCS communicating candidate clarify the knowledge he desires to hit the books and rectify the issues he faces whereas taking in-house bcs preparation. Moreover, a candidate gets vast motivation and necessary updates from the group-members. you'll be a part of facebook teams to require on-line BCS preparation or on-line BCS model tests too.

Warning: you ought to maintain cluster discipline strictly and make sure that the members don't pass the discussing time by mere conversation. No doubt, your BCS Preliminary preparation are higher, electric sander and easier as a result of your cluster study.

Go through the ‘BCS Question Bank’ of the previous preliminary exams 1st.
You must bear the BCS prelim Question Bank of the previous exams circumstantially. create a chart and prepare a statistics on the things, areas of the topics and their sorts that were frequented within the previous exams. create a priority list of the necessary chapters. hit the books those data of the known styles of queries or solve out those issues as per your priority list.
Follow a ‘Smart-revision cycle.’

How you'll maximise your memory output:
A shocking analysis shows that if you hit the books or learn any lesson, eightieth of the memorised data wander away from your memory at intervals twenty four hours. This immense loss of memory may be prevented throw correct and systematic revisions.

You should follow this revision cycle given below to maximise your recall from your memory:

# 1st Revision: Having memorized any lesson, you ought to revise the lesson only one hour once your memorizing. You’ll ready to recall or bear in mind most data throughout succeeding twenty four hours. (Just pay 5-6 minutes for every revision.)

# Second Revision: The 2d revision ought to be simply once twenty four hours (1 Day). Your memorized data can last for next one week.

# Third Revision: The third revision ought to happen simply once seven days (1 Week). Your data memory can last for succeeding one month. meaning you’ll be ready to bear in mind most of your data for one month.

# The Fourth (Final) Revision: The last revision ought to happen simply once one month. For this, you’ll be ready to bear in mind most of your data even once one year. Your memorised data are permanent in your memory system.

Make some ‘flash-cards’ with the confusing data.

Some data beneath some explicit topics of your BCS communicating info is incredibly powerful to recollect on time. particularly date and variety connected data tend to confuse you.

To solve this downside, write those confusing data on some individual flash-cards. Keep the flash-cards with you where you go. Revise the knowledge very often at your convenient time.

You can stick some individual charts, info-graphics or info-tables of these confusing data on your bedchamber walls or on the wall before your reading table. Definitely, frequent revisions can chase away your confusions and solidify your BCS preparation.

The best thanks to take a look at your BCS preparation level is to require half in some BCS preliminary model tests on-line or offline. These BCS communicating model tests may be divided into 50-mark every many mini-model tests on 2 or 3 topics of your BCS communicating info or BPSC info.

Take your mock BCS model tests seriously. you ought to prepare yourself well before taking part in those BCS model tests.

At the tip of your long-time preparation journey, participate in 8-10 BCS model tests of one hundred marks. make sure that your temporal order of respondent the queries is maintained accurately. Budgeting time for every topic could be a crucial issue of your BCS communicating success.

I accustomed take BCS preparation within the same approach that I even have delineate on top of and qualified at the terribly 1st BCS prelim (28th BCS). I qualified at my second BCS prelim (29th BCS) that I appeared within the following year too.

Though i used to be doing employment after I was taking BCS preparation, I did regular group-study with one among my best friends Foyez Ullah. it had been a two-person group-study and was conducted over cell-phone frequently. throughout our group-study, i used to be doing employment in Sylhet town military quarters and Foez was doing employment in Dacca.

For reading newspaper, I accustomed bear ‘The Daily Star’ and therefore the ‘Prothom-Alo’ everyday for a minimum of 2 hours. In fact, I eaten each newspaper I had accessible around Maine at my workplace as i used to be and am a voracious reader! This excessive reading habit helped Maine lots to require a wise BCS preliminary preparation.

Spending lots of your time for newspaper reading helped Maine to possess Associate in Nursing overall BCS preparation too.

To cut my story short, I had an honest and a uniform study habit whereas i used to be taking BCS preparation. I do believe that it's not the high-voltage talent {that creates|that creates|that produces} one self-made in BCS communicating rather it's a wise designing and consistency of study that make one a BCS Cadre officer.

I’m certain your story are completely different once following these BCS Preliminary preparation tips. If you face any issues to require BCS preparation, be happy to shoot Maine Associate in Nursing email from the contact page.
Hope these BCS preparation tips facilitate YOU!

For Further Information : Tricks For BCS Preliminary
January 25, 2018

38 Bcs Preliminary Exam Result Published 2018

38 Bcs Preliminary Exam Result Published 2018
38 Bcs Preliminary Exam Result Published 2018



38 Bcs Preliminary Exam Result Published 2018

38 BCS MCQ Result can transfer Through This Post. you'll be able to transfer thirty eighth BCS MCQ communication Result, when Publish by The Asian nation Public Service Commission. transfer thirty eighth BCS Seat arrange PDF File and JPG File From The Below Section. BPSC thirty eighth BCS Circular 2017 can Publish could 2017. thirty eighth BCS communication Date, Seat arrange and MCQ Result 2017 can Found Here. BPSC thirty eighth BCS MCQ communication Date can Announce shortly. once The Authority Announce thirty eight BCS MCQ communication Date, we have a tendency to Update here. when Announce communication date, Authority can Publish thirty eighth BCS Seat arrange and later thirty eighth BCS MCQ Result. thirty eighth BCS Result For MCQ and Written Update can give notice tho' This Post. thirty eighth BCS MCQ communication can persevered twenty nine Dec 2017.




The Authority of Asian nation Public Service Commission Announces That over 2042 achievement Post can obtainable For thirty eight BCS Circular 2017. The Authority Already Send The Circular outline to The Prime Minister Officer For Approval. once they Approve The outline, Ministry of Public Administration can Publish The Circular on Asian nation Public Service Commission Official website bpsc.gov.bd. However, you'll be able to transfer The thirty eighth BCS Circular 2017 PDF From Our website.
For apply BCS candidate should have completed the Honors degree or graduation level. And age limits twenty one to thirty years, however freedom fighter’s kid gets two years a lot of advantage. Interested Candidate will apply at on-line with pay fee by Teletalk Mobile SMS.

The Public Service Commission can declare  The BCS Circular PDF Format. They published a notice that thirty eighth BCS Circular 2017 can publish March 2017. BCS Circular, Application method, Exam Date, communication Marks Distribution and BCS MCQ Result and  all BCS connected info are Found this site.


To Download 38 Bcs Preliminary Exam Result Click Below:


January 24, 2018

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ভাল ফলাফল করার কৌশল

বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে ভাল ফলাফল করার কৌশল


বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করার কৌশল (সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি)

পরীক্ষার সময় যত এগিয়ে আসে পরীক্ষার্থীদের টেনশনও তত বাড়তে থাকে। কিন্তু আপনাকে এই মানসিক চাপকে গুরুত্ব দিলে চলবে না। সঠিক ভাবে প্রস্তুতির জন্য চাই চাপহীন ফুরফুরে মন। তাই চাপ না নিয়ে শুধু সময়কে কাজে লাগাতে থাকুন। গত পর্বে আমরা বাংলা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এপর্বে আলোচনা করব সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নিয়ে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য চাই তথ্যভিত্তিক উপস্থাপনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরীক্ষাতে সঠিক তথ্য সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারলে আপনি গণিতের মতই ভাল নম্বর তুলতে পারবেন। কিন্তু এজন্য উপস্থাপনার ভেতর অবশ্যই বিশেষত্ব থাকতে হবে। বিজ্ঞান মূলত তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করে। তাই বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর হতে হবে প্রয়োজনীয় তথ্য সম্বলিত। পরীক্ষার খাতাতে এমনভাবে তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে হবে যেন পরীক্ষক আপনার খাতা এক নজর দেখেই বুঝতে পারেন যে, আপনার খাতায় প্রয়োজনীয় তথ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয়েছে। শুধু এই একটি কাজ করতে পারলেই আপনি অন্যদের থেকে অনেকখানি এগিয়ে থাকবেন। এজন্য- ১. উত্তরের শুরুতেই প্রশ্ন সম্পর্কিত কোন বিজ্ঞানীর নাম বা আবিষ্কারের তারিখ উল্লেখ করুন ২. রসায়নের প্রশ্নে প্রতি প্যারা শেষ হবার পর রাসায়নিক বিক্রিয়া দেবার চেষ্টা করবেন ৩. যদি বিক্রিয়া দেবার প্রয়োজন না থাকে তাহলে চিত্র বা ডায়াগ্রাম ব্যবহার করুন ৪. জীববিজ্ঞানের প্রশ্নে অবশ্যই চিত্র ব্যাবহার করতে হবে। ৫. যদি কোন জটিল চিত্র ব্যবহার করতে হয়, আর সেটা মনে রাখতে আপনার মাথায় চাপ পরে যায়, তাহলে চিত্রের ডিটেইল বাদ দিন। চিত্রের আউটলাইন ও মূল দু-একটি অংশ মনে রাখুন। কখনোই চিত্র একদম বাদ দেবার চিন্তা করবেন না। ৬. পদার্থবিজ্ঞানের প্রশ্নে গাণিতিক উপস্থাপনা করতে পারলে ভাল মার্ক পাবেন। না পারলে অবশ্যই প্রশ্ন সম্পর্কিত চিত্র উপস্থাপন করবেন। অর্থাৎ যেকোনোভাবে আপনাকে আপনার উত্তরটিকে তথ্যমূলক হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে। ৭. পদার্থবিজ্ঞানের জন্য কিছু প্রয়োজনীয় চিহ্ন প্রয়োজন হয়। একটি চার্ট করে সেগুলো শিখে ফেলুন। খুব বেশি সময় লাগবে না। ৮. কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রশ্নের মধ্যে অনেক টার্মিনোলজি থাকে। এগুলোর ব্র্যাকেটে ইংরেজি টার্মটি ব্যবহার করতে হবে। ৯. বর্ণনামূলক উত্তর না দিয়ে পয়েন্ট আকারে উত্তর দেবার চেষ্টা করুণ। ১০. পরীক্ষাতে খুব ছোট ও অল্প নম্বরের প্রশ্ন আসে। তাই একটি টপিকের শুধু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো মনে রাখুন।

বিজ্ঞানের ছাত্রদের কাছে উপরের পয়েন্টগুলো ব্যবহার করতে সমস্যা হবার কথা না। কিন্তু অন্যদের কাছে এগুলো বেশ ঝামেলার কাজ মনে হতে পারে। তবে দেখতে যেমনই লাগুক না কেন, আপনার রেগুলার পড়াশুনার পাশাপাশি অল্প কিছু বেশি সময় দিলেই আপনার উত্তরকে অন্যদের থেকে আলাদা করতে পারবেন। প্রস্তুতি তো আপনাকে নিতেই হবে। কিন্তু তার সাথে যদি একটু বেশি পরিশ্রম করেন, তাহলে আপনার খাতাটা দেখতে সবার থেকে আলাদা হবে। যতটা সম্ভব সংকেত, চিহ্ন, চিত্র এগুলো ব্যাবহার করতে হবে। যেক্ষেত্রে প্রয়োজন সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া দেওয়া লাগবে। আপনি বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশুনা করেননি, তাই আপনি এটা পারবেন না এগুলো ভাবলে ভাল মার্ক পাওয়া যাবে না।

বিকল্প উত্তরের ভরসা করা ঠিক হবে না পরীক্ষাতে বিজ্ঞানের জন্য আপনি একটি, কম্পিউটারের জন্য দুইটি ও ইলেক্ট্রনিক্সের জন্য দুইটি অপশন হাতে পাবেন। পরীক্ষাতে কেউ যদি কোন বিশেষ অধ্যায়কে কঠিন মনে করে এড়িয়ে যেতে চান, তাহলে সাধারণ বিজ্ঞানের জন্য সেটা রিস্ক হয়ে যেতে পারে। কেননা এখানে একটি অপশনই থাকে। আর যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে কয়েকটি ক,,,ঘ আকারের ছোট প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। তাই বিকল্প অপশনের চিন্তা না করে সিলেবাসের টপিকগুলো কাভার করার চেষ্টা করতে হবে।

প্রথমেই বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করুণ প্রথমেই BPSC এর সিলেবাস ও বিগত বছরের প্রশ্নগুলো ভালমতো দেখে নিতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্নের ধরণ দেখলে ঠিক কি ধরণের প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয় সে সম্পর্কে আপনার ভাল একটি ধারণা হয়ে যাবে। ফলে আপনি সিলেবাসের বিষয়বস্তুগুলো পড়ার সময় কোন বিষয়কে কতটুকু গুরুত্ব দেবেন সেটা বুঝতে পারবেন। প্রশ্নের ধরণ বুঝতে পারলে আপনি যে উৎস থেকেই পড়েন না কেন, আপনাকে বাড়তি তথ্য মাথায় রাখতে হবে না।

কোন বই থেকে শিখবেন? নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বইতেই সিলেবাসের বেশিরভাগ টপিক খুঁজে পাবেন। আর কিছু টপিক পড়ার জন্য আপনাকে উচ্চ মাধ্যমিকের বইগুলোর সাহায্য নিতে হবে। যদি কিছু টপিক খুঁজে না পান, তাহলে প্রথমেই গুগলে সার্চ করবেন। এই সার্চ করাটাকে কখনোই বিরক্তির কাজ মনে করবেন না। কারণ এই সার্চের অভ্যাস আপনার স্টাডি করার ক্ষেত্রে প্রচুর সাহায্য করবে। কোন বিষয় সম্পর্কে আপ টু ডেট তথ্য উপস্থাপন করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইন্টারনেট সার্চের সাহায্য নিতে হবে। বাজারে অনেক রেফারেন্স ও গাইড বই পাওয়া যায়। এসব বই থেকে আপনি প্রশ্ন অনুশীলন করতে পারবেন। ভাল মার্ক পেতে চাইলে আপনাকে তথ্যভিত্তিক সুন্দর উপস্থাপনা করতে হবে। এজন্য আপনি কিছু ভাল ওয়েবসাইটের সাহায্য নিতে পারেন।

বইয়ের তালিকা ১. নবম-দশম শ্রেণীর রসায়ন ২. নবম-দশম শ্রেণীর পদার্থবিজ্ঞান ৩. নবম-দশম শ্রেণীর জীববিজ্ঞান ৪. নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান ৫. উচ্চ-মাধ্যমিক শ্রেণীর রসায়ন ৬. উচ্চ-মাধ্যমিক শ্রেণীর পদার্থবিজ্ঞান ৮. নবম-দশম শ্রেণীর তথ্যপ্রযুক্তি বই ৯. উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণীর তথ্যপ্রযুক্তি বই ১০. ভাল একটি গাইড বই ওয়েবসাইটের তালিকা (এগুলো প্রয়োজন মনে হলে দেখতে পারেন)        
                          ১ revisionworld.com 
                           ২. studytime.co.nz
                           ৩. examstutor.com

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আসলে কঠিন বিষয় নয় সামনেই পরীক্ষা, কঠিন কোন বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এগুলো একবারের জন্য আমরা ভুলে যাব। একটু লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারবেন- আমাদের দৈনন্দিন জীবন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আমরা স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করি, ভিডিও কল করি, স্বয়ংক্রিয় মেশিনে টাকা লেনদেন করি, জটিল সব রোগের চিকিৎসা করই, এগুলো সবই সম্ভব হয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে। পরীক্ষায় কিন্তু জটিল কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব থেকে প্রশ্ন করা হয়না। আমরা নবম-দশম শ্রেণিতে যেটুকু আবশ্যকীয় বিজ্ঞান শিখেছিলাম সেটাই মূলত প্রশ্ন করার ভিত্তি। বিজ্ঞান মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন না।একটু বোঝার চেষ্টা করলেই দেখবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত তথ্যগুলো মনে রাখতে পারবেন।

সাধারণ আলোচনা ও বিজ্ঞানের ব্যাবহার বিজ্ঞান কাজ মূলত পরীক্ষা নিরীক্ষার সাহায্যে সঠিক তথ্য জানা। বিজ্ঞানীরা একটি পরীক্ষা বার বার করে কোন একটা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারেন । টমাস আলভা এডিসন লাইট বাল্ব আবিষ্কার করার জন্য ১০০০ বার পরীক্ষা করার পর বাল্ব জ্বালাতে সক্ষম হয়েছিলেন। পুরাতন পাঠ্য বইতে দেখবেন ফ্রান্সিস বেকনের একটি চার্ট দেওয়া আছে, যেখানে খুব সুন্দর করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দেখানো হয়েছে। আপনি সহজ কথায় প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলেই হবে। বই থেকে মুখস্থ লেখার কোন প্রয়োজন নেই। আর দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যাবহারের তো শেষ নেই। এগুলো পড়ার সময় দেখবেন আপনি নিজেই এগুলো সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। এই টপিক থেকে প্রশ্ন হলে- 1)বিভিন্ন ক্ষেত্র, যেমন- চিকিৎসা, কৃষি, শিক্ষা, শিল্প এগুলোর নাম পয়েন্ট আকারে দেবন 2)প্রতিটির সাথে অবশ্যই উদাহরণ দিতে হবে। 3)এসব প্রশ্নের উত্তর কখনোই বর্ণনা আকারে দিবেন না 4)চার্ট টাইপের জিনিস ব্যাবহার করতে পারেন ।

আলো, বিদ্যুৎ ও চুম্বকত্ব আলো খুবই ইন্টারেস্টিং একটি জিনিস। আরও মজার বিষয় হলো- আলোর সাথে বিদ্যুৎ ও চুম্বকের একটি সম্পর্ক রয়েছে। ১৮২০ সালে হেন্স ক্রিশ্চিয়ান ওরস্টেড নামে এক বিজ্ঞানী খেয়াল করলেন যে- ব্যাটারির সুইচ অন করার সময় পাশের কম্পাসের কাটাটা কেপে উঠছে। এ থেকেই তিনি প্রথম বুঝতে পারেন যে বিদ্যুতের সাথে চুম্বকের একটি সম্পর্ক রয়েছে। আপনি নিজেও বাসায় বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। ওরস্টেডের পর মাইকেল ফ্যারাডে নামে আরেক বিজ্ঞানী বিদ্যুৎ আর চুম্বক নিয়ে গবেষণা করে আবিষ্কার করেন- বিদ্যুৎ দিয়ে চুম্বকত্ব সৃষ্টি করা যায়। এবং তিনি আরও পরে চুম্বক দিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি উপায় বের করেন। এভাবেই পৃথিবীর প্রথম জেনারেটর আবিষ্কৃত হয়। তার আবিষ্কারটি কিন্তু জটিল কিছু না। তিনি চুম্বক নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখলেন- একটি পরিবর্তনশীল চুম্বকের পাশে যদি কোন ধাতু থাকে তাহলে সেখানে একটি তার যুক্ত করলেই তার ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। এখানে মূল বিষয়টি হলো- বিদ্যুৎ আর চুম্বক মূলত একই শক্তিরই দুটি ভিন্ন রূপ। তাই বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে চুম্বক তৈরি করা যায়, আবার চুম্বককে ঘুরালে বিদ্যুৎ তৈরি করা যায়। এভাবেই জেনারেটর কাজ করে। জেনারেটরে ভেতরে কয়েকটি চুম্বক থাকে। এগুলো একটি চাকার সাথে যুক্ত থাকে, আমরা যদি চাকাটিকে ঘুরাই তাহলে তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়। এর অনেক পরে ম্যাক্সওয়েল নামে একজন বিজ্ঞানী বিদ্যুৎ আর চুম্বকের জন্য একটি গাণিতিক সমীকরণ তৈরি করেন। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হয় যে এই দুটি মূলত একই শক্তি। দুটি মিলে নাম হয়ে যায় তড়িৎচুম্বক শক্তি। ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণ থেকে দেখা যাচ্ছিল গতিশীল তড়িৎ ও চুম্বক থেকে এক ধরণের তরঙ্গ সৃষ্টি হয়। আর আলোই হল সেই তরঙ্গ। এই তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গের আবার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বেশি কম হতে পারে। তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বাড়লে কমলে এর আচরণও বদলে যায়। যেমন- আমরা যে আলোতে দেখি তার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য- 4 x 10-7 মিটার - 4 x 10-7 মিটার। এর থেকে আরও কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যেরও তড়িৎচুম্বক তরঙ্গ হতে পারে। যেমন- এক্সরে, গামা রে, UV অর্থাৎ আল্ট্রাভায়োলেট, মাইক্রোওয়েভ। অর্থাৎ আমরা যে মাইক্রোওয়েভ দিয়ে খাবার গরম করি সেটাও ধরণের আলো! আবার এক্সরে ও এক ধরণের আলো। শুধু তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের পার্থক্যের কারণে এদের বৈশিষ্ট্য আলাদা। আর এই সবধরনের তড়িৎ-চুম্বক তরঙ্গকে একসাথে বলা হয় তড়িৎ-চুম্বক বর্ণালি। সিলেবাসে দেখবেন- আলোর প্রকৃতি, বিভিন্ন রঙ, তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, চুম্বক, বিদ্যুতের সাথে চুম্বকের সম্পর্ক, তড়িৎ চুম্বক, UV- এই ধরণের টপিকগুলো আছে। এই বিষয়গুলো কিন্তু পাঠ্য বইতেই আছে। শুধু একটু বুঝে বুঝে পড়তে হবে। যারা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র না তারা কিছু বৈজ্ঞানিক শব্দ বা “4 x 10^7 মিটারদেখেই এগুলো এড়িয়ে যাবেন না। একটু ভাল করে পাঠ্য বইগুলো পড়লেই বুঝতে পারবেন আমরা দৈনন্দিন জীবনে যেসব জিনিস ব্যবহার করি বিজ্ঞানের সাথে তার গভীর যোগাযোগ আছে। শুধুমাত্র বই থেকে বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, UV-এক্সরে-লেজার এগুলোর ব্যাবহার, জেনারেটরের কাজ, হিটার, লাইট বাল্ব এগুলো সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে। পাঠ্য বইতে দেখবেন তড়িৎ-চুম্বক বর্ণালির সুন্দর একটি চিত্র দেওয়া আছে। ঐ চিত্রটা একটু বুঝতে পারলেই অর্ধেক পড়া হয়ে যাবে। ১. প্রশ্নে চিত্র ব্যবহার করতে হলে অবশ্যই চিত্র ব্যবহার করবেন ২. বিভিন্ন পরিমাপের একক উল্লেখ করতে হবে ৩. প্রশ্নের শুরুতে পটভূমি ও বিজ্ঞানীর নাম ব্যবহার করতে পারেন শব্দ আলোর মত শব্দও এক ধরনের তরঙ্গ। কোন কিছুর কম্পনের ফলেই মূলত শব্দ সৃষ্টি হয়। উপরের আলোচনা থেকে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন বিজ্ঞানে তরঙ্গের ধারণা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তরঙ্গও কোন জটিল বিষয় না। আমরা পুকুরে ঢিল ফেললে যে ঢেউ হয় সেটাও এক ধরণের তরঙ্গ। তবে তরঙ্গ শুধু এই এক ধরনেরই হয় না। পানির ঢেউ প্রবাহিত হয় পানির উপর দিয়ে, আর শব্দের তরঙ্গ প্রবাহিত হয় বাতাসের ভেতর দিয়ে। আর এই তরঙ্গ আমাদের কানে পৌঁছালে তাকে আমাদের মস্তিক্স শব্দ হিসেবে গ্রহণ করে। শব্দের অধ্যায় থেকে- ১. বিভিন্ন মাধ্যমে শব্দের বেগ, শ্রাব্যতার সীমা, ডেসিবল, কম্পাঙ্ক এই বিষয়গুলো দেখে রাখবেন। প্রশ্নের সাথে সম্পর্কিত হলে উপস্থাপন করতে হবে। ২. চিত্র দেওয়া লাগলে অবশ্যই চিত্র দিতে হবে, তাই সরল চিত্রগুলো দেখে রাখবেন ৩. উদাহরণ দেবার চেষ্টা করতে হবে।

এসিড, ক্ষার, লবণ ও পানি: এই টপিকগুলো শুরু করার আগে পাঠ্যবই থেকে অণু, পরমাণু ও আয়ন সম্পর্কে ভালমতো শিখে নিতে হবে। তাহলে অর্ধেক চাপ এখানেই শেষ হয়ে যাবে। সব পদার্থ পরমাণু দিয়ে তৈরি। এই পরমাণুর মধ্যে আবার থাকে- ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন। কোন পরমাণু থেকে ইলেকট্রন কম-বেশি হয়ে গেলে তাকে, “আয়নবলা হয়। এখন লক্ষ্য করুন- পানির মধ্যে যদি কোন জিনিস হাইড্রোজেন আয়ন ছাড়তে পারে- তবে সেটাকে আমরা এসিড বলি। আর এসিডের উল্টোটাই হলো ক্ষার। আর কোন দ্রবণে কতটুকু হাইড্রোজেন আয়ন আছে সেটাকেই বলে PHএই ধরণের বিষয়গুলো শিখে নিলে বাকি জিনিসগুলো মনে রাখতে অনেক সুবিধা হবে। এবার বই থেকে পানির গলনাংক, স্ফুটনাঙ্ক, কোনটার PH কত, পানি দূষণের কারণ-প্রভাব এই টাইপের বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে শিখে নিবেন। তাহলে মনে রাখতে সুবিধা হবে। ১. এই অধ্যায়গুলো থেকে প্রশ্ন হলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ব্যবহার করবেন ২. প্রশ্নের বর্ণনা বাড়াবেন না। ছোট কিন্তু তথ্যমূলক লেখা উপস্থাপন করবেন ৩. প্রয়োজনীয় উদাহরণ দিতে হবে ।

প্রাকৃতিক সম্পদ, পলিমার, বায়ুমণ্ডল, খাদ্য ও পুষ্টি: এই টপিকগুলো নিয়ে লেখার সময় যতটা সম্ভব উদাহরণ দেবার চেষ্টা করতে হবে। পাশাপাশি প্রয়োজন হলে চিত্র ব্যাবহার করতে হবে। খাদ্য ও পুষ্টি অংশটুকু নবম-দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বই থেকে শিখতে পারেন। ভিটামিন বা আমিষের অভাবে কি কি রোগ হয়, কোন খাদ্যে কোন উপাদানের পরিমাণ কতটুকু, দৈনিক কি পরিমাণ ফল খাওয়া উচিত- প্রয়োজন অনুসারে এই তথ্যগুলো উপস্থাপন করতে হবে। বায়ুমণ্ডল অধ্যায়টি নবম-দশম শ্রেণীর ভূগোল বইতে পেয়ে যাবেন। বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন স্তরের নাম, উচ্চতা, উপাদান, কোন স্তরের ভূমিকা এই তথ্যগুলো দিয়ে উত্তর করলে অবশ্যই ভাল মার্ক পাওয়া যাবে।

বায়োটেকনোলজি , রোগ ও স্বাস্থ্যসুরক্ষাঃ বায়োটেকনোলজি অংশটা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের বিজ্ঞান বই মিলিয়ে পড়লে ডিটেইল পাবেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ টপিকই বংশগতি বিজ্ঞান নিয়ে। 1)DNA, RNA বা ক্রোমসোম বিষয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই চিত্র ও রাসায়নিক সংকেতসহ দিতে হবে 2)উত্তরের শুরুর অংশে DNA-এর আবিষ্কারক, কত সালে আবিষ্কার করা হয় এই ধরণের তথ্যভিত্তিক জিনিস দিয়ে শুরু করবেন। 3)DNA, RNA ভাইরাসগুলোর নাম, কোন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কারণে কোন রোগ হয় এগুলো উদাহরণ সহ দিতে হবে। 4)কোন কোন কাজে ন্যানোটেকনোলজির ব্যাবহার রয়েছে এগুলো পয়েন্ট আকারে দিতে হবে 5)অবশ্যই উদাহরণ দিত হবে ।

কম্পিউটার প্রযুক্তি: আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন কাজে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যাবহার করছি। নতুন সিলেবাসে দেখবেন কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ যেমন- মাইক্রোপ্রসেসর, বায়োসের কাজ, কম্পাইলার, সিস্টেম সফটওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, কম্পিউটার ভাইরাস, অফিস অটোমেশন, সফটওয়্যার তৈরি এসব বিষয় রয়েছে। এগুলো আমাদের ব্যাবহারিক জীবনের সাথে সম্পর্কিত। এই টপিকগুলো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বই থেকে শিখবেন। 1)বিভিন্ন অংশের কাজ পয়েন্ট আকারে দিতে হবে 2)প্রয়োজন হলে চিত্র ব্যাবহার করবেন।

তথ্য প্রযুক্তি: বর্তমান সময়কে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তির যুগ। ডাটা কমিউনিকেশন, ডাটাবেজ সফটওয়্যার, LAN, MAN,WAN নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি বইতে সুন্দর করে লিখা আছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের দায়িত্ব, ফেসবুক-টুইটারের মত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম, ব্লগের মত টপিকগুলোকে মজা নিয়ে শিখবেন। আর তার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য চার্ট করে ফেলবেন। তাহলে মনে রাখতে সুবিধা হবে। বিস্তারিত নোট করে সময় নষ্ট করবেন না। প্রয়োজন হলে কোন বিষয়টি কোন বইয়ের কত পৃষ্ঠায় রয়েছে এগুলোর একটা লিস্ট তৈরি করে ফেলবেন।

ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেক্ট্রনিকস প্রযুক্তি: এই অংশটা একটু বিস্তারিত। তবে একটু পরিকল্পনা করে পড়লে সময়ের মধ্যেই শেষ করতে পারবেন। ওহমের সূত্র, কার্শফের ভোল্টেজ সূত্র, কার্শফের তড়িৎ প্রবাহের সূত্র, এই সূত্রগুলো একসাথে লিখে ফেলবেন। ইলেকট্রনিক ডিভাইস, অসিলেটর, রোধ, ক্যাপাসিটর, আইসি, সেমিকন্ডাক্টর, টেলিভিশন, রাডার এই ধরণের জিনিসগুলোর সাথে একটির অন্যটির সম্পর্ক রয়েছে। এগুলোর একসাথে পড়বেন। 1)ক্যাপাসিটর, আইসি, সেমিকন্ডাক্টর কাজ, গুরুত্ব ইত্যাদি পয়েন্ট আকারে দিতে চেষ্টা করবেন। 2)প্রশ্নের উত্তরগুলো সাজিয়ে লিখবেন যেন প্রতিটি তথ্য চোখে পরে সময় ও নম্বর অনুযায়ী বিভিন্ন টপিক ভাগ করে ফেলুন। পরীক্ষার আগে কোনভাবেই অন্যকিছুতে মনোযোগ না দিয়ে শুধু লেখার অনুশীলন করে যান। যে তথ্যগুলো মনে রাখতে সমস্যা হয় সেগুলো বার বার পড়ুন। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। সফলতা আসবেই।